এই রাজ রাজেশ্বরী দুর্গোৎসবকে ঘিরে শুরু হয়েছে বাউল, নাটক ও কবিগানের আসর। তাই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মহা মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে এই রাজ রাজেশ্বরী পুজো। বীরভূম জেলা লাগোয়া গ্রাম মুর্শিদাবাদের বংশবাটি। জনসংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার ছুঁই ছুঁই। মাঘী পূর্ণিমা পর্যন্ত চলবে এই পুজো। মুর্শিদাবাদের এই অকাল দুর্গাপুজোর আয়োজন ঘিরে বহু জনশ্রুতি রয়েছে।এই পুজোর টানে শুধু গ্রামের মানুষজন নয় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে ভিড় জমান।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
এই গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, এমন অকাল দুর্গাপুজোর নিদর্শন এই জেলাতে আর দ্বিতীয়টি নেই। পুজোর প্রথম দিন থেকেই মানুষ এখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছে। ভাসানের দিনে গ্রামে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জনসমাগম ঘটে। এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত বংশ পরম্পরায় পুরোহিত জানালেন, শ্রী শ্রী রাজ রাজেশ্বরী মা দুর্গার ষোড়শী রূপ। দশ মহাবিদ্যার তৃতীয় রূপ। মা রাজ রাজেশ্বরী এখানে শবাসনে বিরাজ করেন। বাহন হচ্ছে সিংহ এক চালায় দেবীর আবির্ভাব”।
দেবীর পুরোনো মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয়েছে নতুন মন্দির। যা উচ্চতায় প্রায় ১১৫ ফুট। এটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম উচ্চতম মন্দির হিসাবে পরিগণিত হওয়ার পথে। এদিকে এই বিশাল আকার পুজো চালানোর যাবতীয় খরচ রাজ রাজেশ্বরীর মন্দির কমিটির হাতে থাকা ধানের জমি থেকে শুরু করে, পুকুরের মাছ চাষের টাকা সহ দেবীর নিজস্ব জমিতে হাট বসিয়ে সেই টাকা থেকেই খরচ চলে। পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামের বাসিন্দারা মেতে ওঠেন এই চারদিন।
কৌশিক অধিকারী