মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া ব্লককে ‘সবজি চাষের ভাণ্ডার’ বলা হয়। এখানে শীতকালীন সবজি থেকে ধান চাষ, সবই ব্যাপক হয়ে থাকে। কিন্তু যেখানে সবজির দাম বর্তমানে আকাশছোঁয়া, বেগুনের দাম সেঞ্চুরি করেছে, সেখানে কুমড়োর দাম নেই। তাই বাধ্য হয়ে চরম পদক্ষেপ নিলেন চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ গরুমারা ছেড়ে সোজা ডুয়ার্সের রিসর্ট! পর্যটকদের সামনে গজরাজের ‘নাইট ট্যুর’, দেখুন ভিডিও
advertisement
চলতি বছর প্রায় ৫০০-র বেশি কৃষক ধারদেনা করে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছেন। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে মিষ্টি কুমড়ো চাষ করেছেন অধিকাংশ কৃষক। চাষে সময় লাগে প্রায় ৬ মাস। এতকিছুর পর এমন পরিস্থিতির শিকার হতে হবে তা তাঁরা আদৌ ভাবেননি। বিক্রি করার কোনও সুযোগ না পেয়ে বাধ্য হয়ে মাঠের মধ্যেই ট্রাক্টর চালিয়ে কুমড়ো নষ্ট করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন চাষিরা।
শ্রীপুর গ্রামের এক কৃষক জানান, প্রায় এক বিঘা জমিতে তিনি বহু কষ্টে কুমড়ো চাষ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে পাইকার না থাকায় কুমড়ো বিক্রি করতে পারছেন না। জমি থেকে কুমড়ো তুলে বাজারে নিয়ে আসার পরেও শুধু পরিবহণ খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কৃষকের আক্ষেপ, “দাম না পেলে আমরা কীভাবে বাঁচব? কুমড়ো ১০ টাকা কেজিতেও পাইকার নেই। খামারে পড়ে ফসল নষ্ট হচ্ছে।” স্থানীয় বিশিষ্টজনদের আশঙ্কা, এই পরিস্থিতি যদি চলতেই থাকে তবে অনেক চাষি কুমড়ো চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। এতে কৃষি ব্যবস্থায় বড় ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। কুমড়োর এমন মূল্যপতন কৃষকের জীবিকায় সরাসরি আঘাত হানছে। দ্রুত সরকারি হস্তক্ষেপ ও সঠিক বাজার ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন চাষিরা।





