এই খুদে যা করল তাক লাগিয়ে দিল সকলকেই। মাত্র একবার চোখ বুলিয়ে নিয়েই একের পর এক ছবি নিখুঁতভাবে চিনে নিতে পারে সে। আধো আধো স্বরে বলে দিতে পারে পশু পাখির নাম। আর সেই অসাধারণ প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে আনায়ার নাম উঠে গেল ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ।
advertisement
অনায়ার মা আমিনা মণ্ডল নিজেও একজন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি জানালেন, মাত্র তিন মাস বয়স থেকেই মেয়ের মধ্যে অস্বাভাবিক স্মরণশক্তির ইঙ্গিত পেয়েছিলাম। বইয়ের পাতায় থাকা ছবিগুলিকে একবার দেখলেই অনায়া মনে রাখতে পারত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বয়স যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে তার মনে রাখার ক্ষমতাও।
বাবা আশরাফুল আলম বিশ্বাস পেশায় একজন টিউশন মাস্টার। বাবা-মা দু’জনেই মেয়ের স্মৃতিশক্তি বিকাশে মনোযোগ দিয়েছেন শুরু থেকেই। তাঁরা জানান, বাড়িতে সন্তানের সামনে কখনও মোবাইল ব্যবহার করা হয় না। বই, রঙিন ছবি আর বাস্তব জগতের অভিজ্ঞতা দিয়েই তৈরি হয়েছে অনায়ার অসাধারণ স্মৃতিশক্তি।
গত ১ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ অনায়াকে স্বীকৃতি দেয়। স্থানীয় এলাকায় এখন সে এক ছোট্ট তারকা। প্রতিবেশীরাও মুগ্ধ এই ক্ষুদে প্রতিভা দেখে। শিশু অনায়ার এই অর্জন শুধু তার পরিবার বা গ্রামের নয়, গোটা জেলার গর্ব হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই।
কৌশিক অধিকারী