মহম্মদ সানোয়ার হোসেনের আত্মত্যাগ আজও ভোলেনি মুর্শিদাবাদের মানুষ। কার্গিল বিজয় দিবস বা অন্যান্য শহিদ দিবসগুলিতে তাঁর নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তাঁর এই আত্মত্যাগ দেশের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বড়ঞা থানার শিমুলিয়া গ্রামে তাঁর বাড়িতে যায় সেনাবাহিনীর কর্তব্যরত জওয়ানেরা। শিমুলিয়া গ্রামে প্রবেশের আগে শহিদ সেনার স্মৃতিস্তম্ভে শহিদ সেনার মা ও দাদার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ এই স্মারক। পাশাপাশি শহিদ সেনার পরিবারের খোঁজখবর নিল ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃপক্ষ।
advertisement
দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার প্রায় ২৫ বছর পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফ থেকে শহিদ সানোয়ারের পরিবারের হাতে শংসাপত্র এবং ‘বীরও কে নাম’ সম্মাননা তুলে দেওয়া হল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্রাস সেক্টরে কর্মরত জওয়ানরা মুর্শিদাবাদের শিমুলিয়া গ্রামে এসে শহিদ সানোয়ার হোসেনের স্ত্রী মোসাম্মৎ নাসনারা বেগম এবং তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের হাতে শংসাপত্র এবং সম্মাননা পদক তুলে দিলেন। কার্গিল যুদ্ধ শেষের প্রায় ২৫ বছর পর ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে এসে শহিদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দিলেন, তাতে সকলেই আপ্লুত।
১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা LOC বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কার্গিল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের সময়, ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন বিজয়ের অংশ হিসেবে টাইগার হিল এবং অন্যান্য পোস্ট পুনরুদ্ধার করতে সফল হয়। তিন মাস ধরে চলা সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের প্রাণহানির পর ভারতীয় সৈন্যরা বিজয় অর্জন করে। ভারতীয় সেনা প্রায় ৪৯০ জন অফিসার, সৈন্য এবং জওয়ানকে হারিয়েছিল। যুদ্ধে ভারতের জয়কে স্মরণ করতে প্রতি বছর ২৬ জুলাই কার্গিল বিজয় দিবস পালিত হয়। কার্গিল বিজয় দিবসের আগেই এসে পৌঁছল এই স্মারক, আপ্লুত-আবেগপ্রবণ শহিদের পরিবারের সদস্যরা।
কৌশিক অধিকারী