লালগোলায় এনডিপিএস আইনের অধীনে ৩,৭৮,৮৫,৩৮৫ টাকার ২০টি সম্পত্তি বাজায়েপ্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। লালগোলা পুলিশ, ১৯৮৫ সালের এনডিপিএস আইনের ধারা ৬৮(এফ) এর অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করে, মোট ২০টি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে । লালগোলার নতুন গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ কবির সেখের বাড়িও সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ভগবানগোলার এসডিপিও বিমান হালদারের নেতৃত্বে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে টাঙিয়ে দেওয়া হয় পোস্টার।
advertisement
এসডিপিও বিমান হালদার জানিয়েছেন, লালগোলাতে মাদক মামলায় কড়া পুলিশ। ২০২৪ সালে লালগোলা থানায় একটা মামলা রুজু হয়েছিল কবির সেখের নামে। আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে একটি আর্থিক তদন্তও শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হেরোইনের কারবারের মাধ্যমে যে সমস্ত সম্পত্তি অর্জন করেছিল সেইগুলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ীই অভিযান হয়, জমি এবং সংলগ্ন বাড়ি ‘ফ্রিজ’ করা হয়। বাড়ির সামনে নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। জায়গার দাম প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। বিল্ডিং এর ‘প্রপার্টি ভ্যালু’ প্রায় ১ কোটি টাকা।লালগোলাকে হেরোইন এবং মাদক পাচার মুক্ত করার জন্য পুলিশ ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে। হেরোইনের সঙ্গে যারা যুক্ত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী কারাদণ্ডতেই থেমে থাকব না। এই সমস্ত নিষিদ্ধ দ্রব্য ব্যবসার মাধ্যমে যে সব সম্পত্তি তারা অর্জন করছে, সে জমি হতে পারে, বিল্ডিং হতে পারে- যেকোন প্রপার্টি আমরা ‘ফ্রিজ’ করব।
তবে তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশের এই কড়া পদক্ষেপে খুশি লালগোলার বাসিন্দারা। মাদক চক্রের বিরুদ্ধে পুলিশের এই অভিযানকে আইনের কঠোর প্রয়োগের স্পষ্ট বার্তা বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।






