উল্লেখ করা যেতে পারে, পূর্বতন হাওড়া মালদা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি কোভিড পরবর্তী সময়ে হাওড়া-কাটিহার এক্সপ্রেস নামে চলতে শুরু করে। এক্সপ্রেস নামে হতেই দীর্ঘদিনের বহু পুরানো স্টপেজ কে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাঁকোপাড়া হল্টে ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিক কারণেই হাজার হাজার মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়েন। নিত্যদিন প্রচুর মানুষ স্টপেজ থেকে ট্রেনে চাপলেও তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে শুরু করেন। অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা করতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের এই ন্যায্য দাবির স্বপক্ষে অরাজনৈতিকভাবে আন্দোলনে নামেন।
advertisement
ফরাক্কা রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ব্যাপক গণ আন্দোলন। দফায় দফায় ডেপুটেশন থেকে শুরু করে রেল অবরোধ সবকিছুই কর্মসূচি গ্রহন করা হয়। নেতৃত্ব দেন এলাকার শিক্ষক শহিদুল আলম। অবশেষে স্টপেজ দেওয়ার ঘোষণা করেছে রেলওয়ে দফতর।
শুধু ঘোষণায় নয়, রবিবার রাত থেকেই আপ ডাউন উভয় ক্ষেত্রেই সাঁকোপাড়া হল্টে ট্রেন থামতে শুরু করে। আর তাতেই কার্যত স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় উৎসবের মেজাজ লক্ষ্য করা যায়। কনকনে শীতের মধ্যেও বহু মানুষের ভিড় জমে স্টেশনে। হাওড়া-কাটিহার এক্সপ্রেস ট্রেনের স্টপেজ চালু হওয়ায় খুশি সকলেই। আন্দোলন করেই দাবি আদায় করা যায় ফের একবার প্রমান করলেন এলাকার হাজারও বাসিন্দা।






