বেশ কিছুদিন ধরেই গঙ্গার তীরবর্তী এলাকা সামশেরগঞ্জ, ফরাক্কা, সুতি গঙ্গা ভাঙনে (Ganga Erosion) ভিটে হারা হয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকার কালাছড়ি ঘর, জমি জায়গা, স্কুল। কিন্তু তাতেও হুশ ফেরেনি স্থানীয় প্রশাসনের। রঘুনাথগঞ্জ ২নং ব্লকের কাশিয়াডাঙা অঞ্চলের গঙ্গার তীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি মাফিয়ারা দেদার মাটি (Illegal Soil Collection) কাটছে বলে অভিযোগ। কখনও রাতের অন্ধকারে আবার কখনও দিনের আলোয় দেদার চলছে মাটি মাফিয়াদের (Illegal Soil Collection) দৌরাত্মা| সন্ধ্যা নামতেই ২০-২৫টি ট্রাক্টর এসে মাটি তুলতে শুরু করে।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা হানুজ্জামান সেখ বলেন, ভোর রাত পর্যন্ত চলে মাটি কেটে পাচার (Illegal Soil Collection) করার কাজ। মাটি তুলে পাচার করা হচ্ছে ইটের ভাটায় এমনটাই অভিযোগ স্থানিয়দের। এইভাবে মাটি কাটা চললে কিছুদিনের মধ্যেই বড় আকারের ভাঙন দেখা দেবে। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত বিশ্বাস বলেন, বারে বারে এই মাটি মাফিয়াদের গঙ্গার তীরবর্তী এলাকা থেকে মাটি তুললেও তা নিয়ে প্রশাসনের কোনো বাধা নেই। যদিও বৃহস্পতিবার ভূমি রাজস্ব দপ্তর থেকে হানা দেয় সরকারি আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন - Birbhum News: Farmer-দের পাশে Police, পাম্প চুরির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার, বাঁচল কয়েকশো বিঘা জমির ফসল
ভূমি রাজস্ব দফতর অভিযান চালিয়ে ২টি ট্রাক্টর আটক করে। কিছুটা হলেও সস্তি গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার মানুষদের। তবে মাটি কাটা বন্ধের কড়া হাতে পদক্ষেপ নিতে হবে এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।বি এল আর ও স্বপন সাহা বলেন, অভিযোগ পাওয়া মাত্র এই এলাকার হানা দেওয়া হয়। বেশ কিছু ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যায়। যে বা যারা এই মাটি পাচার চক্রে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মাটি পাচার রুখতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকায় লাগাতার নজরদারি চলছে
Pranab Kumar Banerjee