জরুরি পরিস্থিতিতেও কোনওরকম মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি না দেখানোয় প্রশ্ন উঠছে কোন যুক্তিতে বা কার নির্দেশে এভাবে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বছরের পর বছর ধরে পাকুড় থেকে ধুলিয়ান এবং ধুলিয়ান থেকে পাকুড়, এই দুই রাজ্যের মানুষের মধ্যে টোটোই প্রধান যাতায়াতের মাধ্যম। প্রতিদিন অসংখ্য টোটো চালক পাকুড় থেকে ধুলিয়ান আসেন, আবার ধুলিয়ান ডাকবাংলা এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ পাকুড় যাতায়াত করেন। কর্মসূত্রে, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজার-হাট, মালপত্র পরিবহণ, সবকিছুতেই টোটোর ওপর নির্ভরশীল সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে মেয়ের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত! নবদ্বীপে দলে দলে নাম লেখাচ্ছেন অভিভাবকরা
টোটো চালক রাজেশ আলি তার অভিযোগ, পাকুড় স্টেশন ধরতে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী টোটো করে যাতায়াত করেন। ট্রেন ধরার জন্য এই রুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু হঠাৎ করে বাংলার কোনও টোটোকে ঝাড়খণ্ডে ঢুকতে না দেওয়ায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে গোটা সীমান্ত এলাকা। যাত্রীদের হয় মাঝপথে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নয়তো দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে বা বিকল্প যানবাহনের খোঁজে পড়তে হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এত বছর ধরে যেখানে নির্বিঘ্নে চলাচল হয়েছে, সেখানে হঠাৎ করে কী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? কোনও লিখিত নির্দেশ আছে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। চরম ভোগান্তি ও মানবিক সমস্যার কথা মাথায় রেখে অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ, যাত্রী, টোটো চালক এবং ব্যবসায়ীরা। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথেও হাঁটতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন এলাকাবাসী। যদিও জঙ্গিপুর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।





