ধুলিয়ান পুরসভা লাগোয়া মিলন মন্দিরের সামনে শান্তি বৈঠক ডাকা হয় স্থানীয় রাজনৈতিক দল এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। সেখানে ছিলেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান, সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস, সমশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম প্রমুখ। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্পের দাবি জানান স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য ষষ্ঠীচরণ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘সমশেরগঞ্জের কাছেই বাংলাদেশ।
advertisement
বর্তমান পরিস্থিতিতে এলাকা খুব সংবেদনশীল হয়ে গেছে। এখানে এই ধরনের হামলা হল। পুলিশ কী করেছে, প্রত্যেকে জানে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে থাকতে হবে। প্রশাসনের উচিত এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া।” এই নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়। মন্দির কমিটির সেক্রেটারি তিনি। তার অভিযোগ হরিহরপাড়া, বীরভূম, মালদার একাংশ থেকে লোক ঢোকানো হয়েছে। এদের আসা যাওয়া এখানে আটকাতে হবে। সমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, “গণতান্ত্রিক ভাবে প্রত্যেকের অধিকার আছে কিছু বলার।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি! শিউরে ওঠার মতো ভিডিও, ইতিমধ্যেই মৃত ৪, আটকে রয়েছে আরও
এখন আমরা এলাকার শান্তির বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রশাসন যা দেখার দেখবে।”সমশেরগঞ্জ থানার বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায়। ঘরছাড়া পরিবারগুলিকে দ্রুত ঘরে ফেরার আর্জি জানিয়ে জেলাশাসক বলেন, ‘‘সকলে যাতে আবার সুস্থ ভাবে থাকেন, সে জন্য প্রশাসনের তরফে যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে।’’
তিনি জানান, সমশেরগঞ্জের বেদবোনা, পালপাড়া, সাহাপাড়া, জাফরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা এবং ধুলিয়ান পুরসভার ঘোষপাড়া সংলগ্ন এলাকার পরিস্থিতি বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। অনেকে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরাও যেন বাড়ি ফেরেন। বাড়িঘর মেরামত করার জন্য যে সমস্ত ইমারতি দ্রব্য দরকার, জেলা প্রশাসনের তরফে সেগুলো দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ জানান, জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তাতে মোট ১২২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৭৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।