স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে বাড়ির পাশেই একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন আব্দুল খালেক ওরফে লাল্টু। সেই সময় দোকানদার হঠাৎ বাড়ি থেকে একটি ধারালো হাঁসুয়া এনে লাল্টুকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হন লাল্টু। আশপাশের লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
গ্রামের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও দোকানে চা খেতে এসেছিলেন লাল্টু।কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করতে থাকেন দোকানের মালিক। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু লাভ হয়নি।
কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার
কী কারণে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড? অবৈধ সম্পর্ক, নাকি অন্য কোন ব্যক্তিগত বিরোধ! তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত চায়ের দোকানদার পলাতক, তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনায় এলাকায় চরম চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে পুরোনো বিবাদের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড বলেই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা এলাকা।