পুরো হাসপাতালের এই রূপান্তর হয়েছে মূলত মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ উদ্যোগে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সন্দীপ সান্যালের তত্ত্বাবধান ও পরিকল্পনার ফলে গত কয়েক বছরে হাসপাতালটি আধুনিক মানের স্বাস্থ্যব্যবস্থার নতুন মডেলে তৈরি হয়েছে।
advertisement
নতুন ভবনের আকর্ষণঃ রোগীদের জন্য প্রশস্ত র্যাম্প ও সুসজ্জিত বাগান। রিসেপশন ও কিউ-ম্যানেজার, দ্রুত ভর্তি ও পরিষেবা। ডবল সোর্স পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম, হাসপাতাল জুড়ে ঘোষণার সুবিধা। অপেক্ষমান রোগীদের জন্য টিভি ও বসার ঘর। এমার্জেন্সি ট্রায়াজ রুম। ৬ বেডের এমার্জেন্সি অবজারভেশন ওয়ার্ড। অক্সিজেন সিলিন্ডারের ওঠা নামানো করার সময় যাতে ফ্লোর টাইলসের ক্ষতি না হয় তার নিরাপত্তায় জিম-ম্যাট ফ্লোর টাইলস। লিফট, সিসিটিভি, অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম রয়েছে সে সব।
ডাঃ সান্যালেরই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইমার্জেন্সি পরিষেবাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হয়েছে। সুসজ্জিত শিশু বিভাগ জেলার গর্ব। এই হাসপাতালের সবচেয়ে বড় রত্ন তার নতুন পেডিয়াট্রিক বিভাগ – যা সম্পূর্ণরূপে “বেবি-ফ্রেন্ডলি” ভাবে সাজানো হয়েছে। শিশুদের শারীরিক–মানসিক বিকাশ, নিরাপত্তা ও আরাম – তিনটি দিকেই বিশেষ নজর। শিশু বিভাগের বৈশিষ্ট্য, ৫৪ বেডের বাতানুকূল শিশু ওয়ার্ড, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন, মাল্টি-চ্যানেল মনিটর, গুরুতর অসুস্থ শিশুদের জন্য ৩টি হাই–কেয়ার বেড। নবজাতকদের জন্য রেডিয়েন্ট ওয়ার্মার, ফোটোথেরাপি ইউনিট। শিশুদের জন্য বিজ্ঞানসম্মত খেলনাযুক্ত প্লে কর্নার। পড়ার জন্য শিশুদের বই। গোপাল ভাঁড়, ননটে-ফন্টে এমন কার্টুন চরিত্রে সাজানো দেওয়াল, যাতে শিশুদের মানসিক চাপ কমে। পরিচ্ছন্ন ও শিশু–বান্ধব পরিবেশ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই গোটা সেটআপটি এখন জেলার মধ্যে সেরা। যা স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ নজর ও উদ্যোগেই বাস্তবে রূপ পেয়েছে। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করেছিলেন ১০০ বেডের হাসপাতালের। আজ তা বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৫৪ বেড। শিশু বিভাগ চালু হয়েছে, আর আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই বাকি ফ্লোরগুলিও পরিষেবা শুরু করবে।”
২০২৩ সালের শিলান্যাস থেকে ২০২৫-এর উদ্বোধন – এই কয়েক বছরের পথচলা আজ সফল। নতুন ভবন চালু হওয়ায় রোগীরা পাচ্ছেন এক আধুনিক, সুরক্ষিত এবং মানবিক স্বাস্থ্যসেবা কান্দি মহকুমা হাসপাতাল এখন সত্যিই “সরকারি হাসপাতালের নতুন মডেল”।





