স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা হোক বা বাড়ির গৃহবধূ। বন্যার পরিস্থিতিতে কান্দির হিজল সহ সাটুই বিস্তৃর্ণ এলাকায় যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে নৌকা। সেই কারণে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে জলমগ্ন এলাকায় বেসরকারি ভাবে চালু হয়েছে নৌকা পরিষেবা। বাজার-হাট বা ওষুধ কেনার মতো জরুরি প্রয়োজনে মানুষ এখন নৌকার সাহায্যই নিচ্ছেন। এদিকে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে স্কুল, কৃষিকাজ বন্ধ, জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুল তো নয়, যেন সহজ পাঠের মলাট, ভাইরাল মালতি মুর্মুর জেলায় অন্য চিত্র! না দেখলে বিশ্বাস হবে না
মুর্শিদাবাদের কান্দি ব্লকের হিজল গ্রাম পঞ্চায়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েত শস্য ভান্ডার হিসাবেই পরিচিত। গ্রামের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে তিনটি নদী। বাবলা, দ্বারকা সহ আরও একটি নদী বয়ে যাওয়ার কারণে মাঝে মাঝে বন্যার কবলে পড়তে হয় এই সমস্ত গ্রামগুলোকে। সাটুই কাছে দ্বারকা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে শ্রীকৃষ্ণপুর থেকে সাটুই যাওয়ার একমাত্র রাস্তা জলের তলায়। ফলে ভরসা একমাত্র নৌকা। শ্রীকৃষ্ণপুর, সুভাষ নগর সহ বেশ কিছু গ্রাম এখন জলের তলায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টানা কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি আর একাধির জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে ফের প্লাবিত কান্দি ব্লকের হিজল গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষনগর, শ্রীকৃষ্ণপুর সহ চারটি গ্রামের বিস্তীর্ণ অংশ। হঠাৎই নদীর জল ঢুকে পড়ায় বহু রাস্তা, চাষের জমি, এমনকী ঘরবাড়ি চলে এসেছে জলের তলায়। পরিস্থিতি যে আরও খারাপ হবে তা পরিষ্কার কারণ বাবলা, দ্বারকা ও কুয়ে নদীর জল কার্যত বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে।