মুর্শিদাবাদের বহরমপুর শহরের উপর দিয়ে হয়ে গিয়েছে স্বরূপ খালি অর্থাৎ বড় একটি ক্যালেল। সেই ক্যানেলের জল জমে বর্ষার সময়ে সংকটে পড়ত বহরমপুর পৌরসভা, জল জমে ঘটত বিপর্যয়। বহরমপুর পৌরসভার উপর দিয়ে বয়ে চলা এই ক্যানেল সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হল। মূলত জমা জল ও জল বাহিত রোগ মানুষের মধ্যে বাসা না বাঁধতে পারে তার জন্য যৌথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পোকল্যান্ড মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে এই সেচ দফতরের নালা। গভীর খাদ তৈরি করে আরও জল নিকাশি সহজ করে তোলা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: জিতলেই ১০ হাজার টাকা নগদ, পায়ে ধরে টানাটানি! রাতভর জমজমাট প্রতিযোগিতার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ
জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় নোংরা-আবর্জনা জমে ভার বহনের ক্ষমতা ওই পাঁচটি খাল হারিয়ে ফেলেছে। প্রতি বছর বর্ষার সময় নালা পরিষ্কার করা হত। যদিও সামান্য বৃষ্টিতেই পুরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমে থাকছে এবং তা সরে যেতে দীর্ঘক্ষণ সময়ও লাগছে। প্রাক-বর্ষার বৃষ্টিতেই শহরের যা হাল হয়, তাতে বর্ষা মরশুমের কথা ভেবে শিহরিত ছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। বর্ষার সময়ে বহরমপুর পুরসভার ২৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২-১৪টি ওয়ার্ড প্রতি বছর জলমগ্ন হয়। তার মধ্যে ভাগীরথীর পাড় লাগোয়া বস্তি এলাকার অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও সৈয়দাবাদা, গোরাবাজার, খাগড়া, কাদাই এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় জল দাঁড়িয়ে থাকে। তাই নিকাশি নালার সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বহরমপুর পৌরসভা ও সেচ দফতরের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নারুগোপাল মুখার্জি তত্ত্বাবধানে বর্ষার আগে প্রস্তুতি উপলক্ষে ক্যানেল সংস্কারে কাজ শুরু করা হয়েছে। যার ফলে উপকৃত হবেন সমগ্র বহরমপুর পৌরবাসী। এছাড়াও বৃষ্টি হলেও শহরের বুকে বেশি জল জমবে না বলেও দাবী করেছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান নারুগোপাল মুখার্জি।
কৌশিক অধিকারী