এই মেলা মড়গড়ীসিনি’ নামে পরিচিত ৷ সকালে মেলা জুড়ে মুড়ি ছাড়া অন্য কোনও খাদ্য দ্রব্যের চল নেই৷ প্রতি বছরই অভিনব এই মেলাকে ঘিরে মানুষের আকর্ষণ থাকে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের পুখুরিয়া গ্রামে৷ শীতের রোদ গায়ে মেখে যে মেলায় হাজির হন ৭ থেকে ৭৭-সকলেই৷
advertisement
একসঙ্গে সবাই বসে মুড়ি খেলে সম্পর্ক নাকি ভাল হয়! কী বলছেন বাঁকুড়ার মানুষজন?
আরও পড়ুন- সই করে তার নীচে ‘দাগ’ দেন? জানেন, এই অভ্যাসের ‘গূঢ় অর্থ’ কী? বিশেষজ্ঞদের মতামত চমকে দেবে!
আরও পড়ুন- বলুন তো…কোন ফলে সবচেয়ে বেশি ‘প্রোটিন’ থাকে…? উত্তর আপনাকে চমকে দেবেই…! ‘গ্যারান্টি’
কী ভাবে এই মেলার উৎপত্তি, সেই রহস্যে উদঘাটন করতে গিয়ে উঠে আসে আরও এক অভিনব তথ্য৷ একসঙ্গে বসে মুড়ি খেলে নাকি সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়!-এমনটাই দাবি উদ্যোক্তা থেকে গ্রামের প্রবীন মানুষদের৷
কয়েকশো বছরের পুরানো এই মেলা ফি-বারের মতএবারও শুরু হয়েছিল মকর সংক্রান্তির দিন৷ তিন থেকে চার দিন চলে এই মেলা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রাম্য দেবতা মড়গড়িসিনীর বাৎসরিক বিশেষ পুজা উপলক্ষ্যে মকর সংক্রান্তির দিন বসে এই মেলা৷ প্রত্যেকেই বাড়ি থেকে মুড়ি নিয়ে এসে এই গ্রাম্য দেবতার সামনে বসে খান।
মকর সংক্রান্তির পর তিন দিন একইভাবে চলতে থাকে এই আয়োজন। জনশ্রুতি, কয়েকশো বছর আগে গ্রাম্য দেবতা মড়গড়িসিনী কোনওএক বৃদ্ধকে স্বপ্নাদেশ দেন। তাঁর নির্দেশে এখানে বিশেষ পুজা পাঠ, মেলার আয়োজন ও মুড়ি মেলার সূচনা হয়।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী