মুকুটমণিপুরের সৌন্দর্য বাড়াতে শুধু প্রশাসনিক পরিকল্পনা নয়, নিজে হাতে শিল্পীর ভূমিকায় নামলেন খাতড়ার মহকুমা শাসক শুভম মোর্য। মঙ্গলবার কংসাবতী জলাধারের ধারে পথচিত্র আঁকার কাজ পরিদর্শনে এসে হঠাৎই তুলির পাশে দাঁড়ালেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যেই হাতে তুলে নিলেন রং-তুলি, যোগ দিলেন শিল্পীদের দলে। মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে কংসাবতী জলাধারের পাড়ের রাস্তার ওপর আঁকা হচ্ছে রঙিন আলপনা। নৌকা, ময়ূর, হরিণ, মাছের মত স্থানীয় বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠছে ছবিতে।

advertisement

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে খুব শীঘ্রই নতুন রেল ব্রিজ, মিলেছে সবুজ সংকেত! বড় পরিবর্তন আসছে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনেও

শিল্পীদের সঙ্গে প্রশাসকের সরাসরি অংশগ্রহণ দেখে উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে এলাকায়। পর্যটন মরশুমের আগে নতুন রূপে সাজছে মুকুটমণিপুর, আর সেই রূপসজ্জায় তুলির আঁচড়ে নিজের ছাপ রেখে গেলেন মহকুমা শাসক। মুকুটমণিপুরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে মুকুটমণিপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কংসাবতী জলাধারের পাড় ধরে চলা রাস্তার ওপর আঁকা হচ্ছে রঙিন আলপনা বা পথচিত্র। স্থানীয় শিল্পীদের হাতের স্পর্শে নৌকা, ময়ূর, হরিণ, মাছ সহ এলাকার বিশেষত্ব এই সবই ফুটে উঠছে রঙের ছোঁয়ায়। পর্যটন মরশুমের আগে এই উদ্যোগে উৎসাহে মেতেছেন শিল্পী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা, সবাই।

advertisement

View More

আরও পড়ুন : ধানের তুলনায় দ্বিগুণ দাম, বাজারে চাহিদা বাড়ছে হু-হু করে! মিলেট চাষ করে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে কালচিনির কৃষকদের

এই পথচিত্র আঁকার প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল গত কয়েক বছর আগে। ২০১৭ সালেই মুখ্যমন্ত্রী মুকুটমণিপুর সফরে এসে নিজে দাঁড়িয়ে শিল্পীদের কাজ দেখেন এবং প্রশংসা করেন। কয়েক বছর ধরে আঁকা আলপনা সময়ের সঙ্গে মুছে গিয়েছিল। এবার আবার নতুন করে জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩৩০ মিটার রাস্তার ওপর পথচিত্র আঁকার কাজ শুরু হয়েছে। খাতড়া মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, উন্নয়ন পর্ষদের তহবিল থেকে স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে পুরো কাজটি করানো হচ্ছে। এখানকার প্রকৃতি, সংস্কৃতি এবং পর্যটনের সঙ্গে জড়িত মাছ, হরিণ, নৌকা, ময়ূর, নৌকা এমন সব বিষয় নিয়ে এই আলপনা আঁকা হচ্ছে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

পথচিত্র আঁকার কাজে যুক্ত শিল্পীরা জানান, মুকুটমণিপুর বছরের পর বছর ধরেই পর্যটকদের প্রিয় জায়গা। শুধু রাজ্যের বিভিন্ন জেলা নয়, ভিনরাজ্য থেকেও অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। শিল্পী দয়াময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা চাই, মুকুটমণিপুরকে আরও সুন্দরভাবে সবার সামনে তুলে ধরতে। তাই এলাকার পরিচিত জিনিসগুলো যেমন হরিণ, নৌকা, মাছ আঁকছি। এতে এখানকার সংস্কৃতির ছাপ ফুটে উঠবে। মোট ১৫ জন শিল্পী দল বেঁধে এই কাজ করছেন এবং তাঁদের লক্ষ্য ১৫ দিনের মধ্যেই পথচিত্রের কাজ শেষ করা।

advertisement