প্রাণ হাতে করে গ্রামবাসীদের প্রতিনিয়তই পারাপার করতে হচ্ছে বলে গ্রামবাসীদের দাবি। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে দিলালপুর সহ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের স্কুলের ছাত্র ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষেরা বিভিন্ন কাজে মেমারি যাতায়াত করেন। তাই অন্য কোন বিকল্প রাস্তা না থাকায় প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করতে হয় ওই এলাকার সাধারণ মানুষকে। তবে এবার আবারও একবার আশার আলো দেখছেন গ্রামবাসীরা। এবার এই কাঠের ব্রিজ পরিদর্শন করলেন সাংসদ শর্মিলা সরকার।
advertisement
আরও পড়ুন: সজনে গাছের শাক পাড়াকে কেন্দ্র করে সে-কি কাণ্ড! হাতাহাতিতে আহত ২
ব্রিজ পরিদর্শনের পর সাংসদ শর্মিলা সরকার বলেন, “এই ব্রিজটা দেখে আমার নিজেরও খারাপ লাগছে, এই কাজটা তাড়াতাড়ি করতে পারলে আমার নিজেরও খুব ভাল লাগবে। আমার দিক থেকে কোন দেরি হবেনা , যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করার চেষ্টা করা হবে।”এই কাঠের ব্রিজ না থাকলে দিলালপুরের মানুষকে প্রায় ছয় থেকে সাত কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই কাঠের ব্রিজ পাকা করতে হবে। সেই নিয়ে গত লোকসভা ভোটের আগে এই গ্রামে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার সামনেই বিধানসভা ভোট সেকারণে তার আগেই এই ব্রিজ পরিদর্শন করে তা নতুনভাবে তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এখন দেখার বিষয় ঠিক কবে এই ব্রিজের কাজ শুরু হয়। এর আগেও অনেক প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা এসেছেন এই কাঠের ব্রিজ পরিদর্শনে। আশ্বাস দিয়েছেন খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে এবার বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শর্মিলা সরকার এসে বললেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজ শুরু করবেন। স্বভাবতই সাংসদের আশ্বাসে আশার আলো দেখছেন এলাকাবাসী।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী