রাজনীতির সঙ্গেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে জীবন। ফুরসত নেই। তবু শিকড়ের টানে প্রতিবার পুজোয় তমলুকের কেলোমাল গ্রামে বাবার বাড়িতে ফেরেন মালা রায়। এই গ্রামেই জন্ম। এখানেই বড় হয়ে ওঠা দক্ষিণ কলকাতার সাংসদের। প্রতিবার আসেন। মেয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় থাকে কেলোমালের সরকার বাড়ি।
আরও পড়ুন : ‘দুঃখ হয়...' অষ্টমীর সন্ধ্যারতি শেষে কার কথা মনে পড়ল? মুখ খুললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
advertisement
দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ, কলকাতা পুরসভার চেয়ারপার্সন, কাউন্সিলরও। রাজনীতির ঘেরাটোপে বাঁধা জীবনের প্রতি মুহূর্ত। অবসরের ফুরসত কোথায়? তবু পুজো এলেই পালাই পালাই মন। বাড়ির পুজোয় অংশ নিতে দু-একদিনের জন্য তমলুক রাধামনি এলাকার কেলোমাল গ্রামে চলে আসেন মালা রায়। পারিবারিক পুজোর বয়স প্রায় চারশো। পুজো মানেই একরাশ স্মৃতির ভিড়। আত্মীয় পরিজনের ভিড়ে জমজমাট বাড়ি। চুটিয়ে ক্যারাম খেলা। ছিপ ফেলে মাছ ধরা। নাচগান, নতুন জামা, ঠাকুমা, কাকা-জ্যাঠাদের আদর-প্রশ্রয়। সঙ্গে জমিয়ে পেটপুজো। এই সময়টা তাই কোনও দ্বন্দ্ব নয়৷ পুজোর সময় রাজনীতি না করে বিরোধীদেরও পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সাংসদ।