শুধু অভিজিৎ চৌধুরীই নন লিভার ফাউন্ডেশনের সদস্য চিকিৎসক শৈবাল মজুমদার , অনামিত্র বারিক সহ অন্যরাও বীরভূম জেলার প্রত্যন্ত গ্রামে গুলিতে যাচ্ছেন এই প্রচার অভিযানে। জন্মের পর প্রথম শিক্ষক মা। মায়ের হাতেই প্রথম হাতে খড়ি হয় সন্তানের। তারপর সন্তান বড়ো হতেই মায়ের দায়িত্ব কিছুটা কমে বর্তায় স্কুল শিক্ষকদের কাছে। সন্তান স্কুলে ভর্তির পর মায়ের কিছুটা জায়গা নেই স্কুল ও প্রাইভেট শিক্ষকরা। তবে বর্তমানে এই করোনা অতিমারির জেরে পুরোপুরি বন্ধ স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বড়দের অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা চললেও মন বসছে না খুদে ছাত্র ছাত্রীদের। বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে একেবারেই বন্ধ বাচ্চাদের পড়াশোনা। সেই গ্রামের গরিব বাচ্চারা এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যাতে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে তার জন্য একটি সুন্দর উদ্যোগ লিভার ফাউন্ডেশনের ।
advertisement
আরও পড়ুন - IPL 2021: MS Dhoni -র ভয়ে কাঁপছেন বোলাররা, কী বলতে চাইলেন Deepak Chahar
তারা বীরভূমের নগরী গ্রাম সহ আরো তিনটি গ্রামে মা ও শিশুদের নিয়ে করেন একটি শিবির। যে শিবিরে উপস্থিত বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী মা-দের মনে করান পুরনো ভূমিকা। তিনি তাদের বলেন, " পড়াটাকে সমাজের প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি ঢুকিয়ে দিতে হবে। দেড় বছর ধরে করোনার আগুনে জ্বলেছি, কিন্তু এই করোনার আগুন থেকে বাঁচতে প্রত্যেককে ছাত্র ও প্রত্যেককে শিক্ষক হতে হবে।"
তিনি আরো জানান, "করোনার জন্য পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে আমরা সে সব কাটিয়ে লিভার ফাউন্ডেশন ও আরও কয়েকটি সংস্থার সাহায্যে শিক্ষাঙ্গনে পড়াশোনার উৎসব করতে চাইছি। প্রত্যেকটি মা শিক্ষক হয়ে উঠবে ছাত্র হয়ে উঠবে।" গ্রামের মা -রা এই ব্যবস্থায় খুবই খুশি ও উৎসাহি। মা-রা জানান, " তারা ডাক্তার বাবুর কথায় উৎসাহ পেয়েছেন ও তারাও চাই সবার সহযোগিতায় এগিয়ে যেতে। "
Supratim Das