পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শিশুর নাম মুর সেলিম শেখ। কাজিপাড়া গ্রামে অভিযুক্ত নিজের বাপের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটায়। মৃত শিশুর বাবার বাড়ির সদস্যরা দেহ নিয়ে সালার থানার অন্তর্গত তালিবপুরের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে ফের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সালার থানায়। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে তালিবপুর শেখপাড়ার বাসিন্দা রোহিত শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় কাজিপাড়ার ওই মহিলার। কিন্তু বিয়ের দু’বছর পেরোতেই সংসারে অশান্তি নেমে আসে। তখন থেকেই বেশিরভাগ সময় বধূ কাজিপাড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকতেন বলে। তার মধ্যে ওই দম্পত্তি এক পুত্র সন্তানের জন্ম নেয়। যার সম্প্রতি বয়স পাঁচমাস। বধূর শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, ওই বধূ সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতেই থাকতেন। এমনকি এবারের ইদেও শ্বশুরবাড়ি আসেননি।
মৃত শিশুর বাবার বাড়ির লোকজন কাজিপাড়া গ্রামের প্রতিবেশীদের কাছে শিশুর মৃত্যুর খবর পান। এরপর সেখানে পৌঁছন মৃত শিশুর কাকা রিপন শেখ, ঠাকুমা খুরবা বিবি-সহ অন্যান্যরা। সেখানে পৌঁছে তাঁরা অনুরোধ করেন মৃত শিশুকে সঙ্গে করে তালিবপুর গ্রামে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে ফের মৃত শিশু কোলে সালার থানায় পৌঁছন। এরপর পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
মৃত শিশুর বাবা রোহিত শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচবছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু গত তিনবছর ধরে সংসারে অশান্তি চলছে। সেই কারণে স্ত্রী তিনবছর ধরে বাবার বাড়িতে থাকে। স্ত্রীর সঙ্গে অন্যজনের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্কে জেরেই আমার সন্তানকে শ্বাসরোধ করে মেরে অন্য ছেলের সঙ্গে চলে গিয়েছে।
মৃতের ঠাকুমা খুরবা বিবি বলেন, বৌমা বাড়িতে গিয়ে দেখি নাতির দেহ মাটিতে পড়ে রয়েছে। ওর গলায় কালো দাগ কেন জিজ্ঞাসা করতেই বৌমা ছেলের দেহ ফেলে রেখে অন্যজনের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। এরপর আমরা দেহ নিয়ে থানায় চলে আসি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সালার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কৌশিক অধিকারী