TRENDING:

Fraud Racket : কর্পোরেট ধাঁচে অফিস খুলে রাজ্যজুড়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল মা ও ছেলে! মিলল চোখ কপালে তোলা তথ্য

Last Updated:

Fraud Racket : তাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জামালপুর  : খোলা হয়েছিল ঝাঁ তকতকে কর্পোরেট অফিস। সেখানে গলায় আই কার্ড ঝুলিয়ে কাজ করতো সতেরো জন পুরুষ মহিলা। অ্যাটেনডেন্স হতো বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে। অভিযোগ, সেখান থেকেই মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নামে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিল মা  বাবলি চক্রবর্তী ও ছেলে শুভজিৎ চক্রবর্তী। তাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের জেরা করে মিলেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
advertisement

মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নামে করে বিভিন্ন জায়গা থেকে এখনও পর্যন্ত  মা-ছেলে  মিলে কোটি টাকার প্রতারণা করেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, জামালপুর থানার বিষ্ণুবাটি গ্রামের গৌতম দাস নামে এক ব্যক্তিকেও প্রতারণা করে ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ১৩ নভেম্বর জামালপুর থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন গৌতম। জামালপুরের সাইবার ক্রাইম শাখা, জেলা সাইবার ক্রাইম ও ওসি রাকেশ সিং সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখে জাল বিছাতে শুরু করেন। অবশেষে চলতি মাসের ১৭ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

advertisement

আদালতের নির্দেশে তাদের হেফাজতে নিয়ে সোদপুরে মা-ছেলের তৈরি প্রতারণার কর্পোরেট অফিস ‘পিএএস রিটেলস প্রাইভেট লিমিটেড’-এ হানা দেয় জামলপুর থানার পুলিশের একটি দল। অফিস থেকে উদ্ধার হয় ১৭টি ল্যাপটপ, ৪ টি ডেক্সটপ কম্পিউটার,২ টো ট্যাব,৭টি মোবাইল ফোন, ৫ টি পেন ড্রাইভ সহ একটি খয়েরি ডাইরি। এছাড়াও বেশ কিছু নথিও পেয়েছে পুলিশ।

advertisement

আরও পড়ুন :  বইবাগান! প্রকৃতির কোলে বসে বই পড়ার অনুভূতি এ বার মালদহ জেলা গ্রন্থাগারে

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই অফিসে ১৭ জন পুরুষ ও মহিলা কর্মী ছিল। তাদের কাজ ছিল ফোন করে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলা। বায়োম্যাট্রিক পদ্ধতিতে  এদের হাজিরা দিতে হত। সেই হিসেবে এদের বেতনও দেওয়া হত।

advertisement

আরও পড়ুন :  বাঁশি, সেপাই নয় এই মেলায় বিক্রি হচ্ছে তালপাতার গোলাপ

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

অভিযোগ, ২০২২ সালের ২২ জুলাই টাওয়ার বসনোর নাম করে গৌতম দাসকে প্রথম ফোন করা হয় এই অফিস থেকে। পর্যায়ক্রমে মোট ৮৫ হাজার টাকা গৌতম দাসের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়।এরপর প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পেরে ১৩ নভেম্বর জামালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এই ফোনের সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। উঠে আসে একের পর এক তথ্য। শুধু সোদপুর নয় বারাসাতেও এই মা-ছেলের আরও ৩ টি অফিসের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। কিন্তু সেই অফিসের চাবি মা-ছেলে পুলিশকে না দেওয়ায় তদন্তের স্বার্থে আপাতত অফিসগুলি সিল করে দিয়েছে জামালপুর থানার তদন্তকারী অফিসাররা। আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনটি অফিসের তালা ভাঙা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Fraud Racket : কর্পোরেট ধাঁচে অফিস খুলে রাজ্যজুড়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল মা ও ছেলে! মিলল চোখ কপালে তোলা তথ্য
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল