হরষিত সিংহ, মালদহ : উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ, প্রকৃতির মাঝে বসে বই পড়ার অনুভূতি এবার মালদহ জেলা গ্রন্থাগারে। যেমনটা রয়েছে কবিগুরুর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে। খোলা আকাশের নীচে প্রকৃতির মাঝে আজও শান্তিনিকেতনে পঠনপাঠন এক অন্য মাত্রা পেয়ে এসেছে। সেই আদলেই মালদহ জেলা গ্রন্থাগারে তৈরি করা হয়েছে 'বইবাগান'।
ছোট থেকে বড় এমনকি চাকরি প্রার্থীদের জন্য এই 'বইবাগানে' পড়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। মালদহ জেলা গ্রন্থাগারের কর্তাদের এমন অভিনব ভাবনা রাজ্যে এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।বর্তমান আধুনিক যুগে গ্রন্থাগার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। রাজ্যের গ্রন্থাগার গুলির অধিকাংশ পাঠকের অভাবে ধুঁকছে। তখন মালদহ জেলা গ্রন্থাগারের এমন কর্মকাণ্ডে নজর কেড়েছে প্রত্যেকের।
মালদহ জেলা গ্রন্থাগারের পাশেই বেশ কিছুটা জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। সেই জায়গাটিকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানে প্রথমে ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন প্রজাতির ফুল গাছ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। তার মাঝে তৈরি করা হয়েছে বসে পড়ার জায়গা। বাগানের মধ্যেই রয়েছে বইয়ের সেলফ। বাগানে কোন চেয়ার নেই গাছের গুঁড়ি কেটে বসার টুল তৈরি করা হয়েছে। বাগানের প্রাচীরের দেওয়ালে বিভিন্ন ছবি কার্টুন দিয়ে ভরিয়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আসছে বিশ্ব চিন্তা দিবস, জানুন বেশি চিন্তা করার ফলে ঠিক কী কী হতে পারে!
আরও পড়ুন : মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র নির্মিত প্রাচীন শিবমন্দিরে মহাশিবরাত্রিতে ভোররাত থেকেই অগণিত ভক্ত সমাগম
এই বই বাগানের বিশেষ আকর্ষণ মুক্ত মঞ্চ। বাগানে ছোট একটি মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ছোট ছোট আলোচনা, সেমিনার করার সুযোগ মিলবে। বিশেষ করে প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষা বা চাকুরী প্রার্থীদের জন্য এই মুক্ত মঞ্চ। গ্রুপ স্টাডি বা ছোট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে এই মঞ্চে।ফেলে দেওয়া বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাজানো হয়েছে বই বাগান। এই বই বাগানে রয়েছে আবার ক্যান্টিন। চা বা হালকা টিফিন খাবারের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত খোলা থাকবে বই বাগান। সাধারণ গ্রন্থাগারের সময়ে খোলা থাকবে। লাইব্রেরীর কার্ড থাকলেই এখানে বসে পড়ার সুযোগ মিলবে। এছাড়াও প্রত্যেকেই এখানে এসে বই পড়ে সময় কাটাতে পারবেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।