স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির গৃহকর্তা স্বপন ভট্টাচার্য আরামবাগের একটি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। অবসরের পর গত এক বছর আগে অসুস্থ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে স্ত্রী শিখা ভট্টাচার্য (৫৬) ও মেয়ে তৃষা ভট্টাচার্য (৩০) বাড়িতেই থাকতেন। বছর দেড়েক আগে তৃষার বিবাহ হলেও তিনি মায়ের কাছেই থাকতেন।
আরও পড়ুনঃ একরত্তিকে অ্যাসিড খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ! মায়ের প্ল্যান ছিল…! বনগাঁয় মারাত্মক কাণ্ড
advertisement
গত ৬-৭ দিন ধরে তাঁদের বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না বলে দাবি প্রতিবেশীদের। এক প্রতিবেশী নিমন্ত্রণ করতে এসে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হওয়ায় গলি দিয়ে যেতেই তীব্র দুর্গন্ধ পান। এরপর সন্দেহ আরও বাড়ে। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে দু’জন আত্মঘাতী হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আত্মীয় চঞ্চল গাঙ্গুলি জানান, মামা এক বছর আগে মারা যান। প্রায় দেড় বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়েছিল কিন্তু বিয়ের পর থেকে এখানেই থাকত। এর আগেও একবার এই রকম ঘটনা ঘটেছিল। আমরা এসে অনেক ডাকাডাকির পর দরজা খুলেছিলাম, তখন অনেক বুঝিয়েছিলাম। আমাদের ধারণা মানসিক অবসাদে ভুগছিল। হঠাৎ করে আমার মামার ছেলে ফোন করে বলল এই রকম ঘটনা। আমি এসে থানায় ফোন করলাম। থানা থেকে এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করেছে। সম্ভবত ৪-৫ দিন আগে বিষজাতীয় কিছু খেয়েছে। পাড়ার এক প্রতিবেশী নিমন্ত্রণ করতে এসে সাড়া না পেয়ে ও একটি দুর্গন্ধ পেয়ে পাড়া-প্রতিবেশীকে বিষয়টি বলেন। সেখান থেকে আমার ভাই জানতে পারেন এবং আমি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দিই।