ছেলে নির্মাল্য প্রামাণিক ছোট থেকে পড়াশোনায় ভাল ছিল । সেই সুবাদে ভাল চাকরিও জুটিয়ে নেয় । সরকারি অডিট দফতরে । পূর্ণিমা দেবী বড় মেয়ে ও ছেলের বিয়ে দেন বেশ কয়েক বছর আগেই । বিয়ের বছর খানেক পর ছেলে তার স্ত্রীকে নিয়ে চলে যায় কলকাতায় । এরপরেই পূর্ণিমা দেবীর স্বামী নিমাই বাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন । তখন ছেলের কাছে হাত পাতলে ছেলে কিছু না দেওয়ায় মহকুমা শাসকের কাছে সাহায্যর আবেদন করেন ।
advertisement
২০১৪ সালে ছেলে নির্মাল্যকে মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে মা-বাবাকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । তারপর ছোট মেয়ের বিয়ে ও পূর্ণিমা দেবীর স্বামীর অসুখের জন্য জমানো টাকা সব খরচ হয়ে যায় । ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে পূর্ণিমা দেবীর স্বামী মারা যাওয়ার পর ছেলে বাবার শ্রাদ্ধ শান্তি করতে এসে ঝগড়া করে চলে যায় । তারপর আর দুর্গাপুরের দিকে ফিরেও তাকায়নি ।
অনেক আবেদন নিবেদন করে ছেলের কাছে সাহায্য পাওয়ার জন্য । কিন্তু কোনো লাভ হয়নি । অবশেষে ১৬ জানুয়ারি আবার মহকুমা শাসকের দফতরে আবেদন করে তিনি ।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা জানান, ‘‘যেহেতু নির্মাল্য প্রামাণিক সরকারি অফিসার, বিষয়টি নির্মাল্য প্রামাণিকের অফিসেও জানানো হয়েছে । সিনিয়র সিটিজেন্সি ট্রাইব্যুনালে সমস্যার সমাধান করা চেষ্টা করছি । প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে স্বেচ্ছামৃত্যু পথে কোনও ভাবেই যাতে না যেতে হয় সেই ব্যবস্থা করব । নির্মাল্যবাবু ফোনে জানান তিনি এ বিষয়ে কোনও কথা বলবেন না আমাদের সঙ্গে , তিনি সিনিয়র সিটিজেন্সি ট্রাইব্যুনালে যা বলার বলবেন ।’’