দূরদূরান্ত থেকে মানুষ কালীপুজোর দিনে হাজির হন এই গ্রামে।গ্রামে ঢুকলে প্রথমেই দর্শন পাওয়া যাবে প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার বড় মায়ের। আরও কিছুটা এগোলেই রয়েছেন প্রায় সম উচ্চতার মেজো মা। তার আশপাশে রয়েছে সেজো মা ও ছোট মায়ের মন্দির। গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে পূজিত হন দেবী কালী।১০০ টিরও বেশি কালীপুজো হয়ে গ্রাম জুড়ে।
advertisement
মেমারির আমাদপুর এক প্রাচীন জনপথ। কথিত আছে, পূর্বে এখান দিয়েই প্রবাহিত হত বেহুলা নদী।বণিকদের বাণিজ্য তরী নাকি যাতায়াত করত এখান দিয়ে। সেই সময়ে বণিকদের দস্যুদের কবলে পড়ে সর্বস্ব খোয়াতে হত। আমাদপুরে বেহুলা নদীর ধারে ছিল মহাশ্মশান।শ্মশানে এক সাধু কালীসাধনা করতেন। বণিকরা দস্যুদের হাত থেকে বাঁচতে এই শ্মশানে কালী মায়ের পুজো দিতে শুরু করেন। শোনা যায়, এর পর থেকেই তাঁরা দস্যুদের হাত থেকে রক্ষা পেতে শুরু করেন। তখন থেকেই এই দেবীর প্রতি বিশ্বাস জন্মায় তাদের। মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পরে দিকে দিকে। যদিও বর্তমানে বেহুলা নদীর মজে গিয়ে খালে পরিণত হয়েছে।
আমাদপুরে কালীপুজোর বিসর্জনেও রয়েছে বিশেষত্ব। বিসর্জনের সময়ে বড়, মেজো, সেজো আর ছোটমা-সহ গ্রামের সমস্ত প্রতিমারই একের পর এক চতুর্দোলায় শোভাযাত্রা বের করা হয়। সারা রাত গোটা গ্রাম ঘোরানোর পরে ভোরবেলায় বিসর্জন হয়। আর এই শোভাযাত্রা দেখতে আশেপাশের জেলা থেকে মানুষজন এসে ভিড় জমান আমাদপুরে।