ঘাটাল শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে শিলাবতী নদী। শিলাবতী নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয় ঘাটাল শহরের পশ্চিম পাড়। ঘাটাল পৌরসভার ১৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩ টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়। ঘাটাল ব্লকের মনসুকা ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, সুলতানপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত অজবনগর ১ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত, দেওয়ানচক ১ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়াও দাসপুর ১ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা, চন্দ্রকোনা ১ ও ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা শিলাবতী নদীর জলে প্লাবিত হয়। ডুবে যায় বিঘের পর বিঘে চাষের জমি।
advertisement
আরও পড়ুন- মাত্র ৯ মিনিটে ৬টি রবীন্দ্র-কবিতা পাঠ! বিরাট নজির ৪ বছরের খুদের
গত বছর ঘাটাল মহকুমায় ভয়াবহ বন্যা হয় একাধিকবার। শিলাবতী নদীর পূর্বপাড়ে মহকুমা শাসকের দেওয়ালের প্রাচীর ভেঙে প্লাবিত হয় মহকুমা শাসকের কার্যালয় সহ ঘাটাল উপ সংশোধনাগার। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ছুটে আসেন একাধিক নেতা মন্ত্রী সহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রাজ্যে ঢুকছে মৌসুমী বায়ু। অর্থাৎ সামনে বর্ষা। তাই ঘাটালের বানভাসি মানুষ শুরু করেছেন বন্যার প্রস্তুতি। বন্যায় পারাপারের একমাত্র মাধ্যম নৌকো, ডিঙি। জোর কদমে শুরু হয়েছে নৌকো, ডিঙি মেরামতির কাজ। সঙ্গে মজুদ করা হচ্ছে শুকনো খাবার। বন্য প্রস্তুতিতে তৎপর প্রশাসনও, শিলাবতী নদীতে বোট নামিয়ে চলছে প্রশিক্ষন।
এর ফলে নাওয়া খাওয়া ভুলেছে নৌকো মেরামতের কারিগরেরা। তাঁরা জানান, ঘাটাল,হুগলি, সহ বিভিন্ন এলাকায় নৌকো মেরামতের কাজ করেন তাঁরা। এই বছর আগাম বর্ষা আসায় চরম ব্যস্ততা কারিগরদের।
এক কথায় বন্যার প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে ঘাটালের বানভাসি মানুষ।
সুকান্ত চক্রবর্তী