বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অপূর্ব রতন চৌধুরি জানান, গত কয়েক বছর ধরেই বর্ষার স্বাভাবিক ছন্দ বদলে গিয়েছে। আগে সারা বছর একটি নির্দিষ্ট ছন্দে বৃষ্টিপাত হত। এর মধ্যে বর্ষার সময়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়তো। পশ্চিমবঙ্গে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলেও কিন্তু গত কয়েক বছরের বৃষ্টিপাতের এই ধারাবাহিকতায় ছন্দ পতন ঘটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন- বার বার খুনের হুমকি! আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ছাড়পত্র পাওয়ার পরে আরও বড় নিরাপত্তা এবার সলমনের
তিনি বলেন, এখন যে সময়ে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা শুরু হওয়ার কথা তার থেকে তা অনেক পরে শুরু হচ্ছে। অন্য দিকে বর্ষায় বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটানা কয়েক দিন ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পর আবার বেশ কয়েক দিন বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকছে।
অপূর্ববাবু বলেন, এর মূল কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তন। উষ্ণতার তারতম্যই এর জন্য দায়ী। উষ্ণতার তারতম্যের জন্য সমভাবে মেঘ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে মৌসুমী বায়ুর প্রবেশ করার ক্ষেত্রেও পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। ব্যাপক পরিমাণ দূষণের ফলে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সে জন্যই এই পরিবর্তন হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বন্ধ করা হলেও বন্ধ হচ্ছে কোথায়! এখনও বাজারে রমরম করে চলছে নিষিদ্ধ প্লাস্টিক!
তিনি জানান, ২০২১ সালে দূষনের মাত্রা ছিল ৪১৮ পিপিএম। এক বছরে তা বেড়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪২১ পিপিএম। এই ব্যাপক পরিমাণ দূষণের ফলেই তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটছে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই উপায়। কার্বন ডাই অক্সাইডের উৎসগুলিকে যে কোনও ভাবে কমিয়ে আনতে হবে। বৃক্ষরোপণের ওপর অনেক বেশি জোর দিতে হবে। ভারতের মতো জনঘনত্বপূর্ণ দেশে মাত্র ২৭ থেকে ২৮ টি। সেখানে কানাডায় এই সংখ্যা ৮৯১৬ টি। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে না পারলে প্রকৃতির সামঞ্জস্য রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
শরদিন্দু ঘোষ