সর্প উদ্ধারকারী অরিন্দম চক্রবর্তী জানান, এটি মনোক্লেট কোবরা। স্থানীয়রা একে গোখরো বলেই চেনে। স্থানীয়দের অনুমতি নিয়েই সেই সাপটিকে লোকালয় থেকে কিছুটা দূরে জঙ্গলে ছেড়ে দেন তিনি। এই বিষয়ে সর্প বিশারদ জানান, বর্ষাকালে এই ধরনের সাপের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তবে এই সাপ খুবই বিষধর। যদি কখনও কামড়ায়, তাহলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অনায়াসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে।
advertisement
বর্ষাকালে রাতের বেলায় অবশ্যই টর্চ বা আলো সঙ্গে রাখা উচিত। সম্ভব হলে বাড়িতে গৃহপালিত পশু যেমন কুকুর বা বিড়াল রাখা খুবই প্রয়োজন। কারণ মানুষ আগে বিষধর সাপের অস্তিত্ব টের পায়। কুকুর বা বিড়াল বাড়িতে থাকলে তারা আগে থেকে মানুষকে সতর্ক করতে পারে যে বাড়ির মধ্যে বিষধর সাপ আছে। এছাড়া বাড়িতে কার্বলিক অ্যাসিড কিংবা ফিনাইলের মতো পদার্থগুলি রাখতে হবে।
গ্রামীণ এলাকা হোক বা শহরের আবাসিক এলাকা, সর্বত্রই মানুষ সাপের মুখোমুখি হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে, সাপের কামড় এবং এর ফলে মৃত্যুর সংখ্যাও হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্যা প্রতিরোধে নির্দিষ্ট ধরণের উদ্ভিদ এবং ভেষজ ব্যবহারের পরামর্শ রয়েছে, কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সেগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করেছেন।