দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রামে বহু বছর ধরে তৈরি হয়ে আসছে এই কেঁচো সার। সম্প্রতি এই কেঁচো সার যাচ্ছে উত্তরবঙ্গের চা বাগানেও। পাশাপাশি এই সার রাজ্যের সমস্ত জেলার হর্টিকালচার, ফরেস্ট এবং ছোট বড় নার্সারিগুলিতেও যেতে শুরু করেছে। ভিন রাজ্যেও বাড়ছে চাহিদা। কিন্তু এই কেঁচো কম্পোস্ট আসলে কী, তা কেউ কেউ জানলেও বহু মানুষের কাছেই অজানা। কেঁচো কম্পোস্ট হল কেঁচো দ্বারা উৎপাদিত সার।
advertisement
গোবরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। কেঁচো ওই গোবর খেয়ে যে মলত্যাগ করে সেটাই হল সার। এই প্রক্রিয়ায় এক থেকে দেড় মাস পর ওই গোবর ভার্মি কম্পোস্টে পরিণত হয়। কেঁচো কম্পোস্ট চাষের জমি-সহ বাগানের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সম্পূর্ণরূপে জৈব এই সারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বাজারে কেজি পিছু ভার্মি কম্পোস্ট ২০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তাই এই সার তৈরি করে সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারলেই ভাল মুনাফা হতে পারে বলে দাবি সংস্থার কর্ণধারের। কর্ণধার অচিন্ত পাইন জানান, প্রায় ২০ একর জমি নিয়ে তাঁদের ফার্ম রয়েছে। ওই জমিতে নানান ফলের গাছ-সহ ধান চাষ ও মাছ চাষ করা হয়। ওই জমিতে ২০০৪ সালে কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করেন। সেই সময় মাত্র ১০০টি কংক্রিটের চেম্বার তৈরি করা হয়। ওই চেম্বারে গাছের শুকনো পাতা, কচুরিপানা দিয়ে তার মধ্যে কেঁচো ছেড়ে দেওয়া হয়। তার ওপর একমাসের পুরনো গোবর সার দেওয়া হয়। এই প্রক্রিয়া চলে ১৫ দিন ধরে৷ প্রায় ৫৫ দিন পরে কেঁচো ওই গোবর খেয়ে মলত্যাগ করে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২০২৩ সালে সার তৈরির চেম্বার বেড়ে হয়েছে ৭০০টি। যাতে বছরে প্রায় ৫ হাজার টন সার উৎপাদন হচ্ছে। ওই সার তৈরি করতে এলাকার পুরুষ-সহ প্রায় ৩০ জন মহিলা শ্রমিক কাজ করে চলেছেন। অধিকাংশ শ্রমিকই মহিলা। জায়গা থাকলে এই সহজ পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করে স্বনির্ভর হতে পারেন আপনিও।





