পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের নঈমনগরের যুবক মহম্মদ তাসলিম দুম্বার খামার গড়ে তুলেছেন ইচ্ছাপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই প্রতিপালক তাসলিম দুম্বা প্রতিপালিত করে বাণিজ্যিকভাবে সাফল্য লাভ করেছেন। পাশাপাশি তিনি দুম্বা প্রতিপালন করে যুবসমাজকে অর্থ উপার্জনের দিশা দেখাচ্ছেন। তাসলিমের দাবি, মরুভূমির দেশের দুম্বার জন্য ইতিমধ্যেই বাংলার আবহাওয়া অনুকূল হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দুম্বার চাহিদা রাজ্য সহ – বাংলাদেশেও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দুম্বা প্রতিপালনে মুনাফাও ভাল হচ্ছে।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদ তাসলিম ২০১৯ সালে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের ইচ্ছাপুর এলাকায় একটি ছাগলের খামার তৈরি করেছিলেন। সেখানে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান ও পাঞ্জাব সহ হরিয়ানা থেকে নানা প্রজাতির ছাগল ও ভেড়া নিয়ে এসে প্রতিপালিত করতে শুরু করেন। এর পরে তিনি হরিয়ানা থেকে বেশ কয়েকটি দুম্বা’র শাবক নিয়ে আসেন তাঁর খামারে। তিনি লক্ষ্য করেন পশ্চিম বাংলার জলবায়ুতে ধীরে ধীরে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে দুম্বাগুলি। বংশবিস্তারও শুরু করে দেয়। দেড় বছরের মধ্যে এক একটি দুম্বার এক কুইন্ট্যালের অধিক ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুম্বা মূলত তুর্কির একটি ভেড়া প্রজাতির প্রাণী। সৌদি আরব সহ মূলত মরুভূমির দেশ থেকে আমাদের দেশে দুম্বা এসেছে। দেশে রাজস্থান ও হরিয়ানা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই দুম্বা প্রতিপালিত হয়। এই জেলায় বর্তমানে কেবল তিনিই দুম্বা প্রতিপালন করছেন। ছাগলের মাংসের থেকে দুম্বার মাংস অনেক বেশি সুস্বাদু থাকায় এর চাহিদাও রয়েছে। দুম্বার মাংস সচরাচর মাংসের দোকানে বিক্রি হয় না। এই মাংসের প্রতি কেজির বাজার মূল্য ২০০০ টাকা। কুরবানির সময় এর চাহিদা থাকে। ছাগল ও ভেড়ার মত দুম্বা ঘাস, কাঁঠাল পাতা এই সবই খায়।
এক একটি দুম্বার ওজন এক কুইন্ট্যাল ছাড়ালে দাম মেলে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা। বর্তমানে তাঁর খামারে ৩০ টি দুম্বা প্রতিপালিত হচ্ছে। কুরবানির ইদের সময় কলকাতা সহ বাংলাদেশেও রফতানি হয়। পাশাপাশি তিনি ছাগলও চাষ করছেন তিনি।তাসলিমের মত বহু বেকার যুবক এই দুম্বার খামার করে স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারেন।
দীপিকা সরকার