রকমারি মিষ্টির পসরা নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শীতে সমুদ্র শহরে বেড়াতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষ, সকলেই অভিভূত মিষ্টি মোহে। দিঘাশ্রী কনভেনশন সেন্টারের উৎসব প্রাঙ্গনে মিষ্টির স্টলগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে উঠতে দেখা যায় তাঁদের। মানুষের উৎসাহ দেখে খুশি ব্যবসায়ীরাও।
advertisement
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি-র ৫০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন এবং ২৪ তম সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দিঘায় প্রথম এই মিষ্টি উৎসবের পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। মঙ্গলবার তিনদিনের এই উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের সেচ ও জলপথ বিভাগের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইয়া। এছাড়াও সূচনা পর্বের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি ও অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
মিষ্টির বিকিকিনি, প্রস্তুতি প্রদর্শন, রোবোটিক্স প্রযুক্তি প্রয়োগে নির্মিত মিষ্টি তৈরির আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রদর্শন – সহ ব্যবহার বিধি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।মিষ্টি ব্যবসায়ীদের তরফে দিঘায় মিষ্টি তালুক গড়ার দাবি তোলা হয়েছে।তার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বন্দোবস্ত করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয় মন্ত্রী,বিধায়ক, জেলাশাসকের কাছে।
আরও পড়ুনঃ যদি এক মাস ভাত বা রুটি খাওয়া বন্ধ করে দেন… কী হবে জানেন শরীরে! আদৌ কী লাভ হয়, না ক্ষতি?
জগন্নাথ ধাম ও সংষ্কৃতি কেন্দ্রেও স্টলের আর্জি জানিয়েছে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি। এই মিষ্টি উৎসব আয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর উৎসাহের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। মানস বলেন, ‘বাংলার মিষ্টি শুধু ভারত নয় পৃথিবী শ্রেষ্ঠ, এই অনুধাবন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী রাজারহাটে ‘মিষ্টান্ন ভবন’ নির্মাণের জন্য জমি দিয়েছেন। দিঘা- সহ বিভিন্ন জায়গায় মিষ্টি হাব তৈরির দাবি উঠেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়িয়ে আছেন মিষ্টি শিল্পের সঙ্গে। তা মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আছে। এখন সব কিছুতেই আধুনিকতার ছোঁয়া। মিষ্টিশিল্প তার ব্যতিক্রম নয়। মিষ্টি তৈরির ক্ষেত্রে যান্ত্রিক উন্নয়নের দিকটাও মুখ্যমন্ত্রী দেখবেন বলে আমাদের আশা।’