ট্রেনে করে কলকাতায় এক আত্মীয়র বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গঙ্গা স্নান করতে বেরোন৷ পথঘাট ঠাওর করতে না পেরে হারিয়ে যান ৫৫ বছরের মানসিক ভারসাম্যহীন বীরভূমের বাসিন্দা আদিবাসি মহিলা বড় সোরেন। ঘটনাটি ঘটে পুজোর আগে। তারপর থেকে তার পরিবারের লোকজন ছুটেছেন এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, কিন্তু খালি হাতেই ফিরে এসেছেন সবাই।
advertisement
আরও পড়ুন Rabindranath Tagore: প্রমথনাথ বিশীকে লেখা কবিগুরুর ১৮টি চিঠি এবার তুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতীর হাতে
জানা যায় বড় সোরেনের বাড়ি বীরভূমের রামপুরহাট থানার শোলগুরিয়া গ্রামে। সেই গ্রাম থেকেই তিনি হঠাৎ একদিন বেরিয়ে পড়েন পুজোর আগে এক আত্মীয় বাড়ি যাবেন বলে। এরপরে কেটেছে অনেক গুলোদিন। পুজোর পর তাকে আর খুঁজে পায়নি পরিবারের সদস্যরা। মহিলার তদন্তে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন পরিবারের সদস্যরা তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে হারিয়ে যাওয়া সেই মহিলার খোঁজ পাওয়া গেল কলকাতা পুলিশ ডেপুটি কমিশনের অফিসের এক সদস্যদের মারফত।
ডেপুটি কমিশনারের অফিসে কর্মরত সুবীর মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিওই মহিলাকে অফিসের পাশেই সামান্য খাবারের জন্য ভিক্ষা করতে দেখতে পান। তখনই তিনি ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। তখন ওই মহিলা আদিবাসী ভাষায় কথা বলতে থাকেন। সেই ভাষা সুবীর বাবু বুঝতে না পারায় তাকে নিয়ে আসেন তাদের অফিসে সেখানেই ওই মহিলাকে তিন দিন রাখা হয়। এরপর তিনি ওই মহিলার একটি ভিডিও করে নিজের পরিচিত অন্যান্যদের মতই রামপুরহাটের এক বাসিন্দা অর্পন নাগকেও পাঠান।
ভিডিও পাওয়ার পরে অর্পণ বিভিন্ন জায়গায় ওই মহিলার ছবি পাঠাতে শুরু করেন এমনকি রামপুরহাট থানায় ওই ছবি পাঠান যাতে ওই মহিলার নামে কোনও নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে জানার জন্য। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ওই মহিলার বাড়ির খোঁজ মেলে।বাড়ির সদস্যদের ডেকে কলকাতায় মহিলাকে তারপরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সৌভিক রায়