চিকিৎসকরা তাকে প্রথমে একটি সার্জারি করেন, তারপর তিনি গর্ভবতী হন। এরপর তাঁকে সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তাই প্রেগন্যান্সির সময়ে মহিলা তিনি হাসপাতালেও আসতে পারতেন না। আর তিনি গর্ভবতী হওয়ার পর থেকেই ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল থেকে প্রতিমাসে চেকআপের জন্য হাসপাতাল থেকে ছুটে যেতেন ডাক্তাররা আর তারপরেই সাফল্য আসে ওই মহিলার। মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ আছেন আর এভাবেই পরিষেবা পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন – Snatching in Kestopur: সকালবেলাতেই পিএনবি- র সামনে থেকে ছিনতাই, ব্যাপক চেঁচালেন বৃদ্ধ আর তাতেই কেল্লাফতে
ওই গৃহবধূর জন্যে একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয় এবং সফল অস্ত্র প্রচার এর মধ্য দিয়ে তার সন্তানের জন্ম হয়। মা এবং শিশু দুজনেই সুস্থ থাকায় খুশি চিকিৎসকরা। এ প্রসঙ্গে এক চিকিৎসক বলেন ওই মহিলা সাইভারকাল ইনকমপ্লিট বলে একটি অসুখ হয়। অর্থাৎ ওই মহিলার জরায়ু সমস্যা থাকার কারণে এটি সাধারণত জন্মগত সমস্যা। তাই সেই কারণে মা হওয়ার সময় পাঁচ মাসের বেশি সন্তান বেঁচে থাকত না। এর পাশাপাশি আরও একটি রোগ তাকে ঘিরে রেখেছিল যার নাম অ্যাপলা সিমডম। যার কারনে ওই মহিলার তিন মাসে একটি অস্ত্রোপচার করানো হয়। যদিও প্রথম একবার দুবার ভয় না থাকলেও ছয় নম্বর বেলায় অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই সমস্ত ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রানের ঝুঁকি থাকে তাই এই রোগীকে বাড়ি থেকেই চিকিৎসা করানো হয়। যেহেতু তিনি গর্ববতী ছিলেন আর সেই কারণে তাকে হাসপাতালে যাতায়াত করলে অনেক রকম সমস্যা হতে পারতো। তাই হাসপাতাল পক্ষ থেকে তাকে সব সময় নজর রাখা হয়েছিল। এক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারতো সেই কথা মাথায় রেখে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়।
সুমন সাহা