TRENDING:

Ladakh Trip|| পায়ে হেঁটে লাদাখ ভ্রমণে যেতে চান আপনিও? অভিজ্ঞতা জানালেন সিঙ্গুরের মিলন মাঝি

Last Updated:

Ladakh Trip by Walking: ২২ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ থেকে পায়ে হেঁটে ৮৩ দিনের মাথায়, লাদাখের খারদুংলা পাসে পৌঁছেছিলেন মিলন মাঝি। কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলে ১৮,৩৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই খারদুংলা পাসটি পৃথিবীর উচ্চতম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হুগলি: ২২ ফেব্রুয়ারি হাওড়া ব্রিজ থেকে পায়ে হেঁটে ৮৩ দিনের মাথায়, লাদাখের খারদুংলা পাসে পৌঁছেছিলেন মিলন মাঝি। কাশ্মীরের লাদাখ অঞ্চলে ১৮,৩৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই খারদুংলা পাসটি পৃথিবীর উচ্চতম। প্রায় ২৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে সেখানে উঠে ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ালেন মিলন।
advertisement

রবিবার গ্রামের ছেলে বাড়িতে ফিরতেই গ্রামবাসীরা মিলন মাঝিকে নিয়ে ব্যান্ড বাজিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে কামারকুন্ডু স্টেশন থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। হারিপালের বিধায়ক করবী মান্না মিলনের সাথে পায়ে হেঁটে আসেন তাঁর বাড়িতে। পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানান বিধায়ক। মিলন জানান, "প্রকৃতি আমার কাছে খুব প্রিয়। ছোট বেলা থেকে ইচ্ছা পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো। কলকাতার অনেক প্রকৃতিপ্রেমী রয়েছেন যারা সাইকেলে, মোটর বাইকে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। তাদের দেখে উৎসাহিত হয়ে বাইক ছাড়াই পায়ে হেঁটে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ি। বার্তা একটাই, পরিবেশকে বাঁচাতে গাছ লাগানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।"

advertisement

আরও পড়ুন: টার্গেট ফরেস্ট ল্যান্ড! বন দফতরের প্রথম দিনের অভিযানে দখলমুক্ত ১৮ একর

বাড়ি ফিরে মিলন আরও জানান, "স্বপ্ন পূরণের জন্য যেখানে যেখানে গিয়েছি, সব জায়গা থেকে সমস্ত মানুষের সাহায্য পেয়েছি। রাত কাটানোর জন্য মন্দির, মসজিদ, গির্জা ও পেট্রোল পাম্প সহ সব জায়গাতেই থাকতে হয়েছে। হাওড়া থেকে ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, হরিয়ানা ও হিমাচল হয়ে লাদাখ পৌঁছতে দিনে ৩০-৪৫ কিমি হেঁটেছি। যাত্রা পথে প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। থাকার জায়গা থেকে খাওয়া দাওয়ার কোনো অভাব হয়নি। ২,১০০ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিলাম বাড়ি থেকে। কিছু ওষুধ আর শীতের কয়েকটা পোশাক কেনা ছাড়া কিছুই খরচ হয়নি।"

advertisement

মিলনের সংযোজন, "১৮,০০০ ফুট উঁচুতে অক্সিজেনের অভাব হয়। কেরলের একটা বাইকার টিম এসেছিল, তাদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল, তারা সেটি আমাকে দিয়ে সাহায্য করেছেন। খুব ক্লান্ত হয়ে পরেছিলাম তবে ওই অক্সিজেন লাগেনি। ওখানে দারচা চেকপোস্টের কাছে বাংলার প্রদীপ সিংহর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি সাইকেল নিয়ে লাদাখ গেছেন।" হরিপালের বিধায়ক করবী মান্না এই বিষয় বলেন, "মিলন যে স্বপ্ন সার্থক করতে পেরেছে, এটা আমাদের সিঙ্গুরের গর্ব।"

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

Rahi Haldar

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Ladakh Trip|| পায়ে হেঁটে লাদাখ ভ্রমণে যেতে চান আপনিও? অভিজ্ঞতা জানালেন সিঙ্গুরের মিলন মাঝি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল