ডিসেম্বরের শুরু থেকেই বাঁকুড়া জেলায় তাপমাত্রা ক্রমশ কমছে। ভোর ও সন্ধ্যায় কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে পাহাড়, জলাধার ও আশপাশের বনাঞ্চল।
ঠিক এই আবহাওয়াকেই উপযুক্ত বলে বেছে নেয় পরিযায়ী পাখিরা। সুদূর উত্তর ভারত ও মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রতি বছর শীত নামলেই তারা পাড়ি দেয় মুকুটমণিপুর জলাধারে। চলতি মরশুমেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে মুকুটমণিপুর জলাধারের একাধিক অংশে বালিহাঁস ও সরাল পাখির দল দেখা গিয়েছে। জলের ধারে ভেসে থাকা পাখির ডাক ও উড়ান মুকুটমণিপুরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে সকালের দিকে সূর্যের আলো পড়তেই পাখিদের দলবদ্ধ উড়ান পর্যটকদের ক্যামেরায় ধরা পড়ছে।
পর্যটন দফতর সূত্রে জানা যায়, শীত পড়তেই মুকুটমণিপুরে পর্যটকের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। পরিযায়ী পাখির আগমন সেই আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বহু পর্যটক পরিবার ও প্রকৃতিপ্রেমী ভিড় জমাচ্ছেন জলাধারের পাড়ে ও পাহাড়ি এলাকায়। স্থানীয় হোটেল ও হোমস্টেগুলিতেও বাড়ছে বুকিং।
পরিবেশবিদদের মতে, পরিযায়ী পাখির নিয়মিত আগমন প্রমাণ করে মুকুটমণিপুর জলাধারের পরিবেশ এখনও পাখিবান্ধব। তবে একই সঙ্গে তাঁরা পর্যটকদের উদ্দেশে সচেতন থাকার বার্তাও দিচ্ছেন।
পাখিদের বিরক্ত না করা, উচ্চস্বরে শব্দ না করা এবং প্লাস্টিক ব্যবহার এড়ানোর অনুরোধ জানান হয়েছে।
শীতের মিষ্টি রোদ, পাহাড়ঘেরা জলাধার আর আকাশে ডানা মেলা পরিযায়ী পাখি—সব মিলিয়ে মুকুটমণিপুর এখন যেন প্রকৃতির এক জীবন্ত পোস্টকার্ড। বাঁকুড়ার শীতকে উপভোগ করতে চাইলে মুকুটমণিপুরে এই মুহূর্তে ঘুরে আসাই যে সেরা সময়, তা বলছেন পর্যটকেরাই।





