বছর ২৫’র যুবক সফিকুল শেখ মালদা জেলার কালিয়াচক থানার সুজাপুরের বাসিন্দা। তিনি পেশায় রেলের ঠিকাদারের অধীনে লাইপলাইনের কাজ করেন। কর্মসূত্রে বাড়ি ছেড়ে সারাবছর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বসবাস করেন তিনি। তাঁর পরিবারের মা, বাবা সহ তাঁর স্ত্রী ও একটি পুত্রসন্তান আছে। আর্থিক অনটনে সংসার টানতে ও নিজের অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার খরচ জোগাতে তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : সরকারি চাকরি এবার হাতের মুঠোয়, চাই শুধু পরিশ্রম! বিনামূল্যে দিশা দেখাচ্ছে আসানসোলের এই সংস্থা
পাশাপাশি জিমন্যাস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হ্যান্ডস্ট্যান্ডে তিনি পারদর্শী। হ্যান্ডস্ট্যান্ডের মত জিমন্যাস্টিকে প্রচুর শারীরিক কসরত করতে হয়। কিন্তু সেই কৌশল তাঁর কাছে একপ্রকার খেলার সমান। তবে তাঁর দাবি, যেহেতু তিনি কঠোর পরিশ্রমের কাজ করেন, তাই এই জিমনাস্টিককে বেছে নিয়েছেন শরীর চর্চা হিসেবে। তাঁর আরও দাবি, হাত, পা, বাহু, কাঁধ, পিঠ ও বুক সহ পেটের পেশী গোষ্ঠী শক্তিশালী করতেই তিনি এই কৌশলকে কাজে লাগাচ্ছেন। তবে হ্যান্ডস্ট্যান্ড, হ্যান্ড ওয়াক কোনও সাধারণ কৌশল নয়।হ্যান্ডওয়াক ও হ্যান্ডস্ট্যান্ড হল হাতের উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ও হাঁটা চলা করা। হ্যান্ডওয়াক জিমন্যাস্টিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
হ্যান্ড ওয়াকে অনেক বেশি শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করতে হয়।শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় তৎপরতার সঙ্গে। পরিযায়ী শ্রমিক সফিকুল কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেলার ছলে এই সমস্ত জিমন্যাস্টিক করে মনোরঞ্জন করছেন সহকর্মী সহ দুর্গাপুরবাসীর। যদিও তিনি পরিযায়ী হওয়ায় কয়েক মাস পরে ফের অন্য রাজ্যে পাড়ি দেবেন। কিন্তু তিনি নিজের প্রতিভা দিয়ে সকলের মনোরঞ্জিত করলেও বুকের মধ্যে বহন করে চলেছেন একরাশ কষ্ট। কারণ তাঁর বছর তিনের পুত্র সন্তান শিরদাঁড়াহীন হওয়ায় পা’য়ে ভর করে উঠে দাঁড়াতেই পারেনা। অর্থের অভাবে উন্নতমানের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত তাঁর সন্তান।