সংসারের শ্রী আনতে ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শ্রীহীন হয়ে পড়তে হচ্ছে একাধিক পরিবারকে। ৮ বছর ধরে ওড়িশার কটকে কাপড় ফিরির কাজ করতেন সামশেরগঞ্জের মহিষাস্থলীর বাসিন্দা মসিবুর রহমান। সোমবার সকালে কাজে বেড়িয়ে গাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, একটি বোলেরো গাড়ি তাঁকে সজোরে পিছন দিকে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে নিকটবর্তী চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে সেখান থেকে কটক মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ছুটে আসে সহকর্মীরা।
advertisement
ঘাতক গাড়িটিকে আটক করেছে কটক থানার পুলিশ। সোমবার ফোনে মৃত্যু সংবাদ জানতে পারে তাঁর পরিবারের লোকেরা। দেহ ময়নাতদন্তের পর বুধবার সামশেরগঞ্জের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা। মৃতের ভাই রাজিবুল সেখ বলেন, "ফোনে আমরা জানতে পারি পথদুর্ঘটনায় দাদার মৃত্যু হয়েছে। দাদার সঙ্গে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের সহযোগিতায় মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে আসা হল।"
আরও পড়ুন : পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে পথে নেমে পোস্টার লাগান সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক
আর এক সহকর্মী মহম্মদ হেরাস বলেন, "মসিবুর সকালেই কাজে বেরিয়ে গিয়েছিল। আমরা খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কটক মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার পরেই মৃত্যু হয়।"
আরও পড়ুন : পৌঁছয়নি 'দুয়ারে সরকার', টাকা খরচ করে নদী পেরিয়ে রেশন আনতে যেতে হয় চরের বাসিন্দাদের
অন্যদিকে চেন্নাইয়ে কাজে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মঞ্জুর আলি মিঞার। হরিহরপাড়া থানার শাহাজাদপুর শেখপাড়ার বাসিন্দা। অভাবের সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তিনি। মাস চারেক আগে চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলেন। পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। মৃত্যু সংবাদ জানতে পেরে শোকের ছায়া তাঁর পরিবারজুড়ে। বুধবার দেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়িতে। মৃতের আত্মীয় সাহেব সেখ বলেন, "পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিল মঞ্জুর আলি। ওর মৃত্যুর পর গোটা পরিবারটা অথৈ জলে। ওর পরিবারকে সরকারি সাহায্যের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে উপকৃত হবে।"