করোনাকালে সরকারি নিয়ম লঙ্ঘন করে জমায়েত করা-সহ একাধিক কারণে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলা করেছে। ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্ডা, ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি, খেজুরির বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক অরূপ কান্তি দাস এবং হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের নাম রয়েছে এই এফআইআর-এ।
ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো থেকে একাধিক অভিযোগে সোমবার তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিজেপি। জেলার বিজেপি বিধায়ক ছাড়াও সেই সভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেই সমাবেশ থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার অমরনাথকে কাশ্মীরে বদলির হুমকি দেন তিনি।
advertisement
শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “এখানে একটা বাচ্চা ছেলে এসপি এসেছে। মিস্টার অমরনাথ কে? কী করছেন, প্রত্যেকদিন কাকে কাকে ডাকছেন, সব আমি জানি। আমি অনেক পুরনো খেলোয়াড়। আপনাদের শুধু বলে গেলাম, আপনি সেন্ট্রাল ক্যাডারের অফিসার। এমন কাজ করবেন না যাতে কাশ্মীরের অনন্তনাগে ডিউটি করতে হয়। প্রত্যেকটা ফোন, কল রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। আপনাদের হাতে যদি রাজ্যের সরকার থাকে তবে আমাদের কাছেও কেন্দ্রের সরকার আছে। নরেন্দ্র মোদী কাশ্মীরকে সিধে করেছেন।”
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, মূলত এহেন বিস্ফোরক হুঁশিয়ারির জেরেই জেলা প্রশাসনের তরফে এই এফআইআর দায়ের করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, বেআইনি জমায়েত, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশের ফোনে আড়িপাতা, পুলিশকে হুমকি দেওয়া, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০ টির বেশি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, একদিন আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। যে কোনও মুহূর্তে গ্রেফতার হতে পারেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার তারই পথ প্রশস্ত হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।