শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তে নেমে গতকাল দ্বিতীয়বার কাঁথির অধিকারী পাড়ায় পৌঁছয় তদন্তকারী সিআইডি দল। সেখানে ভিডিওগ্রাফি করার পাশাপাশি শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীদের আবাসে গিয়ে খুঁটিয়ে তল্লাশি চালায় সিআইডি। কথা বলে তমলুকের সংসদ ও শুভেন্দু অধিকারীর ছোট ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও। এরপরে আজ ফের কাঁথিতে পৌঁছয় তদন্তকারী দলটি।
সূত্রের খবর শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় যেসব চিকিৎসকেরা চিকিৎসা করেছিলেন তাঁদের সঙ্গেও রবিবার কথা বলেন সিআইডি অফিসারেরা। শুধু তাই নয়, সেই সময়ে কাঁথি থানার যে পুলিশ অফিসার ইনভেস্টিগেশন করেছিলেন তাঁদেরও আজ জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআই ডি। সূত্রে এটাও জানা যাচ্ছে শুভব্রত চক্রবর্তী কাঁথিতে থাকাকালীন যেসব দোকানে যেতেন, তেমনিই কয়েকজন দোকানদারকে ডেকে কথা বলবে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
advertisement
জুন মাসেই শুভব্রতর মৃত্যু রহস্য নিয়ে নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। সেখানে তিনি অভিযোগ তোলেন, গুলিবিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়েছিল তাঁকে। অ্যাম্বুল্যান্স আসতেই দীর্ঘ সময় লাগে। তদন্তকারীরা এবার খতিয়ে দেখতে চাইছেন, সত্যিই কি অ্যাম্বুল্যান্স আসতে দেরি হয়েছিল? যিনি শুভব্রতকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই হাসপাতালে, তিনি কী দেখেছিলেন? সেই বিষয়গুলিকে আরও বিস্তারিতভাবে মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। যখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন সে কী অবস্থায় ছিল, তাও খতিয়ে দেখা হবে।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুর তদন্তে দু'দফায় কাঁথিতে বিরোধী দলনেতার বাড়ির সামনে নিরাপত্তা রক্ষীদের থাকার জায়গা ঘুরে দেখেন সিআইডি আধিকারিকরা৷ ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সেখানেই কর্তব্যরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল শুভব্রতর৷ তবে প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যুর সিআইডি তদন্ত নিয়ে তিনি যে একেবারেই বিচলিত নন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। শনিবারই নন্দীগ্রামে একটি দলীয় সভায় হাজির হয়ে সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, 'আমি এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না৷ দু' বছর আট মাস আগে কে আত্মহত্যা করেছে, তা নিয়ে এখন তদন্ত করছে। আমাকে সিআইডি দেখিয়ে লাভ নেই৷ আমার বাড়িতে আশি বছরের বৃদ্ধ পিতা, ৭৩ বছরের বৃদ্ধা মা থাকেন৷ তাঁরা কেমন আছেন, দেখার জন্য সিআইডি পাঠিয়েছিল৷ আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই৷'