কিশোর মান্ডি মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি-র অভিযোগ ছিল, তাঁদের দলের সদস্য ও সংগঠক কিশোরকে ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হতে হয়েছে। তাঁকে খুন করেছে তৃণমূলের কর্মীরা। সোমবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ফের একবার সেই প্রসঙ্গই তোলেন শুভেন্দু(Suvendu Adhikari)। দেখা করেন কিশোরের পরিবারের সঙ্গে। খোঁজ নেন দলের দেওয়া অর্থ সাহায্য তাঁরা পেয়েছেন কি না। আশ্বাস দেন, কিশোরের সন্তানের দেখভালের দায়িত্ব দল পালন করবে। তার আগে কিশোরের ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তিনি।
advertisement
এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে আরও একটি অনুষ্ঠানে আদিবাসী দিবসে উপস্থিত হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরার ডুঁয়াতে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘আদিবাসীদের শিক্ষা ব্যবস্থায় অগ্রাধিকার দিতে হবে সব সরকারকে।’’ শুভেন্দু খোঁজ নেন, কারা এখনও করোনার টিকা পাননি। দ্রুত টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে বলেন আয়োজকদের। সমস্যা হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগেরও পরামর্শ দেন। স্থানীয় একটি ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে আদিবাসী ১০ টি গাঁওতার হাতে তুলে দেওয়া হয় ধামসা, মাদল। এদিনের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য বিজেপি নেতারা।
প্রসঙ্গত, তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সোমবার প্রথম জঙ্গলমহলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee at Jhargram)। ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী (World Indigenous Day) দিবস উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আদিবাসীদের সাবেকি পোশাক পরে তাঁদের সঙ্গে নাচের তালে পা মেলাতে দেখা যায় মমতাকে। আদিবাসী বিশিষ্টদের সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আদিবাসীদের সঙ্গে ধামসাও বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। ঝুমুরও তুলে নিয়েছিলেন হাতে। পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সারা দেশে আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার ডাক দেন মমতা। আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতার দাবি, 'আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। আমাদের সরকার সেই আইন চালু করেছে। সারা দেশে আদিবাসীদের অধিকারে এই আইন চালু করা উচিত। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর তৈরি করা হয়েছে।'