এদিন সকাল থেকেই নন্দীগ্রামের গোকুলনগর, খোদামবাড়ি, বয়াল প্রভৃতি অঞ্চল থেকে নানা ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে। ২৪৭,২৪৮ নং বুথে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ ওঠে। খোদামবাড়ির ১০৫ নম্বর বুথ থেকে অভিযোগ আসে বিমল সাহু নামক তৃণমূলের এক বুথ এজেন্টকে বাড়ি থেকেই বেরোতে দেয়নি বিজেপির দুষ্কৃতীরা। তাঁর গোটা বাড়িকে শাসিয়ে আসা হয়েছে। ,তৃণমূলের অভিযোগ বয়াল অঞ্চলেও ভোটারদের সন্ত্রস্ত করে রেখেছে বিজেপি। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ এসেছে ৫২-৫৩ নং বুথ থেকেও। অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা দুর্বৃত্তায়ন চালালেও সিআরপিএফ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
advertisement
উল্লেখ্য, ভোটের আগের রাতে আমদাবাদের ১৫৪ নম্বর বুথ এলাকায় বিজেপির বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছে। বোমাবাজির অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বিজেপি। এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়েই শুভেন্দু অধিকারী ফলাও করে ঘোষণা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল বহু বুথে এজেন্ট দিতে পারেনি।
এই অবস্থায় একটু বেলা গড়ালে হয়তো রাস্তায় নামতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই চষে দেখতে পারেন জমি আন্দোলনের মাটি। ২০১৬ বিধানসভা ভোটে বিজেপি এখানে ৫ শতাংশের কিছু ভোট পেয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে তা বেড়ে প্রায় ৩৬.৯২ শতাংশ হয়ে যায়। যদিও তৃণমূল তারপরেও প্রায় ১৪ শতাংশের লিড ধরে রাখতে পেরেছিল। এগিয়ে ছিল অন্তত ২০০ আসনে। সেই পালের হাওয়া কি ধরে রাখতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ? নাকি শুভেন্দু অধিকারীর চলে যাওয়াটা রাহুর গ্রাস হয়ে উঠবে, জানতে অপেক্ষমান গোটা বাংলা।