সোমবার নন্দীগ্রামে ৯টি সভা করবেন শুভেন্দু। অর্থাৎ, সারাদিনই নন্দীগ্রামের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়াবেন তিনি। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের প্রসঙ্গে প্রচারের ফাঁকেই শুভেন্দু বলেন, 'উনি আমার নাম নিতে পারছেন না। আগে তাঁর নিজের তোলাবাজ ভাইপোর দিকে তাকানো উচিৎ। আমি ও আমার পরিবার কেমন, তা পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষ জানেন।'
advertisement
গতকালই বেনজির আক্রমণ শানিয়ে অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে তিনি বলেন, 'এবারের ভোট গদ্দারদের বিরুদ্ধে ভোট, মীরজাফরদের ছেড়ে কথা বলবেন না। মনে রাখবেন, বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে।' হাইভোল্টেজ ভোটের আগে পারদ চড়ছে নন্দীগ্রামের। বিভিন্ন সময়ে অশান্তও হয়ে উঠছে জমি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গোটা দেশের নজরে উঠে আসা নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রাম থেকেই এবার লড়াই মমতা বনাম শুভেন্দুর। এহেন প্রেক্ষাপটে মমতার মুখে উঠে এসেছে আশঙ্কার কথাও। তিনি বলেছেন, 'বহিরাগত গুণ্ডাদের কিন্তু এলাকায় ঢুকতে দেবেন না। ভোটের মেশিন খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবেন। কিন্তু ছেড়ে চলে যাবেন না। ভোট হয়ে যাওয়ার পরও পাহারা দিতে হবে সহকর্মীদের। ২০-৩০ জন করে ছেলে-মেয়ে নিয়মিত এলাকা পাহারা দেবে। যাতে কোনওভাবে ভোট মেশিন দখল করতে না পারে।' গোটা রাজ্যের নিরিখে মমতা এমন কথা বললেও তা যে নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য, তা একপ্রকার স্পষ্টই।
তবে, মমতা যখন তৃণমূলের একমাত্র মুখ হয়ে গোটা রাজ্য দাপাচ্ছেন, শুভেন্দু তখন কার্যত আটকে আছেন নন্দীগ্রামেই। সোমবারই নন্দীগ্রামের ৯ সভা-মিছিল করার কথা শুভেন্দুর। সেই প্রচারের ফাঁকেই বারবার তিনি নিশানা করছেন 'মাননীয়া' ও তাঁর 'তোলাবাজ ভাইপোকে'। এদিনও তার অন্যথা হয়নি।
