মঙ্গলবারও তিনি বলেন, 'এ রাজ্যে শুধু মাফিয়া রাজ চলছে। বালি, কয়লা আর তোলাবাজিতেই জায়গা রয়েছে বাংলার। এ রাজ্যে জয় শ্রীরাম বললে শাস্তি পেতে হয়। সেই দিন আর থাকবে না।' তৃণমূলের তরফে অবশ্য শুভেন্দুকে নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, নন্দীগ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে বহিরাগতরা আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের দিয়ে ভোটের দিন কোনও দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা তৃণমূলের। তৃণমূলের বক্তব্য স্থানীয় ভাবে পুলিশকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও লাভ হয়নি। এত গুরুতর অভিযোগ সত্ত্বেও শুভেন্দু কেন এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
এদিকে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর প্রথম সভায় গিয়েই সোমবার প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন শুভেন্দুর বাবা, শিশির অধিকারী। সোমবার রাতে উত্তর কাঁথি কেন্দ্রে শিশির অধিকারী সভাস্থলে পৌঁছতেই তৃণমূল সমর্থকরা সেখানে ভিড় করে স্লোগান তুলতে থাকে। স্লোগান উঠতে থাকে শিশিরবাবু চিটিংবাজ, মীরজাফর। পরিস্থিতি একটা সময়ের পর কার্যত হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশির অধিকারী নিজে তৃণমূল কর্মীদের দিকে তেড়ে যান। শুভেন্দুকেও নিজের জেলায় বারবার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে।
যদিও শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে বারবার তুলে এনেছেন ধর্মীয় মেরুকরণের তাস। সোমবারই তিনি অভিযোগ করেন, 'নন্দীগ্রামে ছোট-ছোট পাকিস্তান গড়ে উঠেছে, পাকিস্তান জিতলে যারা পতাকা ওড়ায়, মাংস খায়, তাঁরাই বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।' শুভেন্দুর এই অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল-বাম-সব পক্ষই। কিন্তু এবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে দুষ্কৃতী জড়ো করার অভিযোগ ওঠায় পালটা চাপ বেড়েছে অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলের। এ নিয়ে কবে মুখ খোলেন শুভেন্দু সেটাই এখন দেখার।