কিন্তু কেন আক্রমণ হবে সৌমেন্দুর গাড়িতে? বারংবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে তাদেরই। তাহলে অগ্নিপরীক্ষায় নেমে অন্য সুর কেন! সৌমেন্দুর অভিযোগস সাবাজপুট এলাকায় তিনটে বুথে রিগিং চলছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিস্ক্রিয় হয়েছিল।সৌমেন্দুর কথায়, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী ম্যানেজ হয়ে গিয়েছে।' এই সময়ে তিনি সাবাজপুটে সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আসেন। প্রসঙ্গত সৌমেন্দু নির্বাচনী এজেন্ট, তিনি যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন বৈধ ভাবেই। কিন্তু অভিযোগ সৌমেন্দু সাবজপুটে পৌঁছতেই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। বাধাদানের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই সময়েই ভাঙচুর চলে তাঁর গাড়িতে। ঘটনার কারণে সৌমেন্দু ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকেই।
advertisement
তৃণমূল অবশ্য বলছে, দল হারবে বুঝেই দোষ চাপাচ্ছেন সৌমেন্দু। এমনকি সৌমেন্দুর নাম নিয়ে বলা হচ্ছে, গতকাল রাতে কাঁথি পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে টাকা দিতে ঢুকেছিলেন। জনরোষে তাঁকে ফিরে আসতে হয়।
প্রসঙ্গত পাঁচটি জেলায় ভোট হলেও এই দফায় পাখির চোখ শুভেন্দু-গড় দক্ষিণ কাঁথি। সকাল থেকেই নানা অভিযোগ আসছে সেখান থেকে। ১৭২ নং বুথে মাজনা মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ দীর্ঘক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখা হয়েছিল বিস্ফোরক অভিযোগে। তৃণমূল সমর্থকরা দাবি করেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দিলেও ভোট পড়ে পদ্মে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বিক্ষোভ সামলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল দশটায়।