বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান। আবার ভোটের পরে সেই তাদেরই দলে ফেরার হিড়িক। নন্দীগ্রাম থেকে হলদিয়া কিংবা কাঁথি থেকে তমলুক। পুর্ব মেদিনীপুরের জায়গায় জায়গায় যখন বিজেপি ছাড়ার প্রবণতা বাড়ছে এবং তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন অনুরোধ জমা পড়ছে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে। সেই সব দলবদলুদের দলে ফেরানো যাবে না দাবি করে হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালে দেওয়ালে পড়ছে পোস্টার। দলবদলু নেতাদের নামে নানা অভিযোগ লিখেই পোস্টার পড়ছে জায়গায় জায়গায়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, বিজেপিতে যোগদানকারীদের কোনভাবেই দলে ফেরানো যাবে না।
advertisement
বৃহস্পতিবার হলদিয়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের দলত্যাগী কাউন্সিলর সত্যব্রত দাসের নামে তাঁর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে পোস্টার। ভোটের আগেই সত্যব্রত দাস তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এখন সেই তিনিই আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডলের কাছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই খেপেছেন হলদিয়ার তৃণমূল কর্মীরা। সত্যব্রত দাস-সহ আরও যাঁরা দলত্যাগী কাউন্সিলর বা নেতা আবার দলে ফিরতে চাইছেন, তাঁদের তৃণমূলে ফেরানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি পোস্টার পড়েছে সুতাহাটা-সহ শিল্প শহর জুড়েই।
তৃণমূল জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মন্ডল জানান, দলে ফিরতে চেয়ে আবেদন অনুরোধ লিখিত ভাবেই জমা পড়ছে। শুধু জেলা নয়, লজ্জায় পড়ে জেলার বদলে রাজ্য নেতৃত্বের কাছেও তৃণমূলে ফেরার আবেদন পত্র জমা পড়ছে। কিন্তু আবেদন করলেই দলে ফেরানো যাবে না। কারণ যাঁরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাঁরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। যা হবে নিচুতলার কর্মীদের কর্মীদের দাবি এবং রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই হবে। যদিও দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। এদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে রাস্তাঘাটে পড়া পোস্টার প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি হলদিয়া পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যব্রত দাস।