এরপরই তৃণমূল সরকারের ব্যর্থতা এবং বিজেপি সরকার গঠন করলে বাংলায় কী কী উন্নয়ন হবে, তারও একপ্রকার তালিকা দিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, 'দশ বছর শোষন আর তোষন করে তৃণমূলের কাছে বাংলা খেলার মাঠ হয়ে উঠেছিল। এখনও খেলার মাঠ আছে। খেলার মাঠই থাকবে। তব, ক্ষমতার আসার পর বিজেপির জন্যে বাংলা উন্নয়নের মাঠ হয়ে উঠবে। বিজেপির জন্যই বাংলা শিক্ষার মাঠ হয়ে উঠবে। বিজেপির জন্যই বাংলা শিল্পের মাঠ হয়ে উঠবে।'
advertisement
বিজেপি সরকার এলে সুন্দরবনে পর্যটনশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি গঙ্গাসাগরকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, 'তৃণমূলের তোলাবাজি গরিব, মধ্যবিত্তদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। ঘর তৈরি হলে কাটমানি। শিশুদের অ্যাডমিশন, শিক্ষা ঋণ, গৃহঋণ, হাসপাতালে ভর্তি- সব কিছুতেই কাটমানি লাগে। অনুপ্রবেশকারীদের খুশি করার জন্য দিদির দশ বছর চলে গিয়েছে। বাংলার লোকেদের ভুলেই গিয়েছেন তিনি। তাঁকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, বাংলার জন্য দশ বছরে কী কাজ করেছেন, বলতে পারবেন না দিদি।'
যদিও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি মেরুকরণের রাজনীতিকেও ঢাল করতে দেখা যায় মোদিকে। বলেন, 'জয় শ্রী রামে আপত্তি রয়েছে দিদি। আবার দুর্গাপুজোর বিসর্জনেও তাঁর আপত্তি। তিলক, গেরুয়া পোশাকে পরলেও আপত্তি। দিদির দলের লোকেরা, টিকি থাকা লোকেদের রাক্ষস বলছেন। দিদি, আপনি আমাকে যতখুশি গালি দিন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আস্থা, রামকৃষ্ণ পরমহংস ও চৈতন্য মহাপ্রভুর সংস্কারকে আমি গালি দিতে দেব না। আপনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। অন্য রাজ্যের লোকেদের অপমান করা আপনাকে মানায় না।'