নন্দীগ্রামে ১২ রাউন্ড গণনার শেষে ৪৬০০ ভোটে এগিয়ে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerje)। ১১ রাউন্ড থেকেই ক্রমেই ব্যবধান বাড়াচ্ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েননি তাঁরই এক সময়ের প্রধান সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামকে বাদ দিলে, গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের ঝড় দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল বলছে, বাংলা নিজের মেয়েকে চায় এই স্লোগানকে প্রমাণ করা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। এমনকি গত লোকসভা নির্বাচনে পিছিয়ে থাকা জেলা মালদহ, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া জেলাতেও তৃণমূলের প্রার্থীদের ফল অভাবনীয়। জয় এসেছে মুর্শিদাবাদেও।
advertisement
২০২১ নির্বাচনে বিজেপির টার্গেট ছিল এবার পূর্ব-মেদিনীপুর, বলা হচ্ছিল শুভেন্দু অধিকারীর গড় এই এলাকা। তাঁকেই পোস্টার বয় বানিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটের দিন বেলা গড়াতে দেখা যাচ্ছে ব্র্যান্ড মমতার সামনে দাঁড়াতেই পারছে না বিজেপি।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েই নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে বলেছিল মাননীয়াকে হাফ লাখ ভোটে হারাব।আর মমতা বলেছিলেন, ভাঙা পায়েই খেলা দেখাবেন। ভোটের ফল যতই এগোচ্ছে ততই প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের খেলা। তৃণমূল নেত্রীর করিশ্মাতেই গোটা রাজ্যে বাজিমাত মানছে সবাই।
এ দিন নন্দীগ্রামের প্রথম দফার গণনা শেষে সামান্য হলেও পিছিয়ে পড়ে তৃণমূল। প্রথম রাউন্ড ভোটের শেষে তৃণমূলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছিলেন ৫৭৯০ টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী পান ৭২৮৭টি ভোট। বলাই বাহুল্য গোটা দেশের নজরই রয়েছে এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রটিতে। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই নন্দীগ্রামে হাতিয়ার করেছিলেন মেরুকরণের রাজনীতিকে। অন্য দিকে গোটা রাজ্যে দুই তৃতীয়াংশ আসনে জয়ের বিষয়ে মমতা আত্মবিশ্বাসী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাস করেছিলেন মহিলা ভোট এবং তাঁর উন্নয়নমূলক কাজকেই। এদিন তৃণমূল প্রথম থেকেই বলছিল প্রথম রাউন্ডের ফলে অবশ্য কিছুই বলা যায় না। উল্টে যেতে পারে যে কোনও সমীকরণ, সেই ফলই ফলতে শুরু করেছে এবার।