তাঁর পায়ে আঘাত লাগার কারণ যে কোনও ভাবেই বিরুলিয়া বা নন্দীগ্রামের মানুষ নয় সেটা এদিন বিরুলিয়ার সভা থেকে স্পষ্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন বলেছেন, "গাড়ি সেদিন চলছিল না। গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। আমি কথা বলছিলাম। হঠাৎ করে চার, পাঁচ জন ধাক্কা দেয়। গাড়ি পিলারে ধাক্কা লাগেনি। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি। দেখি পা ফুলে গেছে। রক্ত বেরোচ্ছে। তারপর আমি পিজি হাসপাতালে যাই। আমার গোড়ালি থেঁতলে গেছে। আমার পায়ের শিরা কেটে গেছে।" এ দিন বিরুলিয়ায় এসে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেই ব্যক্তিকে যিনি পায়ে লাগার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বরফ নিয়ে ছুটে এসেছিলেন।
advertisement
আজ বিকেলেই নন্দীগ্রামে এসে পৌছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন ওঁর সঙ্গে ছিলেন কীর্তনশিল্পী তথা রাজারহাট কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অদিতি মুন্সী। বিরুলিয়া মহেশ্বর বাজারের মাঠে এ দিন সন্ধ্যাবেলায় তিনি ছোট একটি সভা করেন। তার আগে বিরুলিয়া বাজারের পাশে শীতলা মন্দিরে পুজো দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে রেয়াপাড়া থেকে বিরুলিয়া বাজার অবধি প্রায় ৭ কিমি রাস্তায় ব্যাপক পুলিশি প্রহরা রাখা হয়েছিল। এমনকি প্রতিটি মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রাখা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। জেলা পুলিশ সুপার-সহ শীর্ষ নেতারা প্রত্যেকেই তদারকি করেছেন। এমনকি রেয়াপাড়া থেকে বিরুলিয়া অবধি রাস্তার দু'ধারে দড়ি ফেলে রাখা হয়েছিল। যাতে নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্যেই ছিল এই ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য এ দিনও টিপ্পনি কেটে বলেন, "নন্দীগ্রামে আবার যাচ্ছি। আমি জানি না এবার আবার কি প্ল্যান করে রেখেছে। তবে আমাকে খুন করলেও আমি সিপিএম-বিজেপিকে আসতে দেব না।" বিজেপি লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহিরাগত। এ দিন নন্দীগ্রামে পৌঁছে মমতা আরও একবার দাবি করলেন, আমি ঘরের মেয়ে। তোপ দেগে বললেনও, মুখ্যমন্ত্রীকেই বহিরাগত বলছে!