মমতা বলেছেন, "আপনারা জানেন ঘাটাল শহরের প্রাণ শিলাবতী নদী। সেই জন্যই এলাকাটি এক শস্যশ্যামল। চিরকাল মানুষ বলত কপালেশ্বর কেলেঘাই কবে হবে? ৩৪ বছরে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি কেউ করেনি। আমরা ৭০০ কোটি টাকা দিয়ে এই প্রকল্প ৯৯ শতাংশ করে দিয়েছি। তাতে অনেক জায়গায় বন্যা হওয়া কমবে। তাতে দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, ডেবরা এই সব এলাকায় ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছি। কিন্তু দিল্লি আমাদের করতে দিচ্ছে না। ওরা অফিসটা কলকাতা থেকে বিহারে নিয়ে চলে গিয়েছে।"
advertisement
তিনি আরও বলছেন, "আমরা বলেছি ২০০০ কোটি টাকা আস্তে আস্তে দিয়ে দেব। আমরা করে দেব। যাতে এই সব ব্লক বন্যায় না ভাসে। একটু সময় লাগবে করতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার করতে দিচ্ছে না। তা সত্ত্বেও কিছু কাজ ইতিমধ্যেই করেছি।"
এর পরে মমতা জানান কী কী কাজ হয়েছে তাঁর সরকারে। তিনি বলছেন, "আপনাদের তিনটে সমস্যা। কপালেশ্বর কেলেঘাই। ওটা করে দিয়েছি। আর একটা মেদিনীপুরের খালের সংস্কার। ওটা ১৬০ কোটি টাকা খরচ করে করে দিয়েছি। আর একটা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। আমরা বলছি দিল্লিকে ক্লিয়ারেন্স দাও। না দেয় টাকা, না দেয় ক্লিয়ারেন্স। তা সত্ত্বেও চারটে খালের কাজ আমরা শুরু করেছি। বাদবাকি কাজ আমরা করে দেব।"
তবে কাজ নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সেই মীরজাফর প্রসঙ্গেও আসেন মমতা। ফের শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কটাক্ষ করেন তিনি। সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, 'সব খবর আমাদের কাছে আছে। আপনারা জানেন, কাঁথি বাসস্ট্যান্ড থেকে রাত এগারোটার সময় উত্তরপ্রদেশের ৩০ জন গুণ্ডা অস্ত্র হাতে ধরা পড়েছে। বুঝতে পারছেন আপনারা, কী করার ষড়যন্ত্র করছে এঁরা, মীরজাফররা? এদের জবাব দেবেন। আর সমস্ত রকম সুবিধা চাইলে আমাকে ভোট দেবেন।'