এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বয়াল বুথ থেকে বেরিয়ে বলেন, "কাল রাত থেকে বিজেপির প্রার্থী অসভ্যতা করছে। গুণ্ডামি করছে। এমনকি নন্দীগ্রাম মামলায় কোর্ট স্থগিতাদেশ দিলেও আবু তাহেরের বাড়িতেও গিয়ে অশান্তি করেছে।" স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, "নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই আমি, চিন্তি গণতন্ত্র নিয়ে। নন্দীগ্রামে আমি জিতবই। এইখানে ভোট নিয়ে চিটিং হয়েছে।"
advertisement
আজ সকাল থেকেই বয়ালের বেশ কয়েকটি বুথ নিয়ে অভিযোগ আসে তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে। অভিযোগ ছিল, ভয় দেখিয়ে ভোটারদের ভোটদানে বিরত করার, এজেন্ট দিতে বাধা দেওয়ার। অভিযোগ পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর একটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে এই কেন্দ্রটিকে গেলে স্থানীয় মানুষরাই তাঁকে জানান, ছাপ্পা ভোট হচ্ছে। মমতা সোজা প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে ঢোকেন। সেই সময়ে বাইরে পরিস্থিত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। কয়েকশো মানুষ নিজেদের মধ্যে ইটবৃষ্টি, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য পুলিশকে দেখা গেলেও, প্রাথমিক ভাবে বাহিনী অপর্যাপ্ত ছিল বলে অভিযোগ। মমতা গোটা বিষয়টিই শ্যেণদৃষ্টিতে মেপে নিয়ে একটা একটা করে পদক্ষেপ করেন। রাজ্যপালকে অভিযোগ জানান, ডেকে কথা বলেন, নন্দীগ্রামের দায়িত্বে থাকা আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর সঙ্গে।
ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোট দিতে দিচ্ছে না। কয়েকটি জায়গা থেকে সকাল থেকেই অভিযোগ পেয়েছি। এই ঘটনা ঘটেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। এখানে বহিরাগতদের ভিড় করা হয়েছে।" মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, ইলেকশান কমিশনও নীরব। তাঁরা একপক্ষের হয়ে কাজ করছেন। মমতার অভিযোগ, ৬৩টি অভিযোগ করলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন।