রবিবারও মমতা তুলে এনেছিলেন সেই ১৪ মার্চের ঘটনার কথা। বলেছিলেন, 'এই বাপ-ব্যাটার পারমিশন ছাড়া সেদিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।' এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, ১৪ বছর আগের ঘটনা নিয়ে আগে কেন মুখ খোলেননি মমতা? নিজেই অবশ্য সেই যুক্তি দিয়েছেন তিনি। বলেন, 'ফেয়ার এনাফ, ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি। সহ্য করে গিয়েছি।'
advertisement
মমতা অবশ্য এবারও সেই 'নকল' পুলিশ ঢোকানোর আশঙ্কা করছেন। তিনি এদিন বলেন, 'আজকেও তাই করছে। পুলিশ সাজিয়ে গোলমাল পাকাবে। কেউ টাকা দিচ্ছে দেখলে খবর দিন, আমি পুরস্কার দেব। ভিনরাজ্যের পুলিশের উর্দি কিনছে। বিজেপি-র গুণ্ডারা মোটরবাইক নিয়ে গুণ্ডামি করছে। বাইরে থেকে গুণ্ডা নিয়ে আসছে। কাঁথিতে উত্তরপ্রদেশের ২০ গুণ্ডা ধরা পড়েছে।'
মমতার অভিযোগের জবাব অবশ্য আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, 'যারা সেদিন জড়িয়েছিল, উনি তাদেরই বড় পদ দিয়েছেন। উনি এখন হারার ভয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন।' মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনেও তিনি যাবেন বলে জানিয়েছেন শিশির বাবু।
তৃণমূল নেত্রী অবশ্য নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন। অধিকারী পরিবার যে আদৌ তৃণমূলের আদিলগ্ন থেকে সঙ্গী নয়, তা স্পষ্ট করতে তিনি বলেন, 'কাঁথিতে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অখিল গিরি, আর কেউ ভোটে দাঁড়ায়নি। ওঁরা (অধিকারী পরিবার) ছিল না তৃণমূলের জন্মের সময়ে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে সব জিততে শুরু করল। কী না দেওয়া হয়েছে ওদের, অনেক দিয়েছি। একদিন কোথাও ঠাঁই হবে না। আমি গণতন্ত্রের মানুষ, গণতন্ত্রের হয়ে লড়াই করি।'